প্রকৌশলীকে মারপিটের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অন্তরকে মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে পাউবো প্রকৌশলীকে মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাগ্নে মীর নাফিউ ইসলাম অন্তরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে প্রথমে অন্তরকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।
সেখানে তাকে গ্রেফতারের বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। পরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানযীম আলম তাবাসসুমের ভার্চুয়াল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক অন্তরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিষয়ে গত সোমবার নাফিউ ইসলাম অন্তর নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে মারপিট করে কাগজপত্র তছনছ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়।
প্রকৌশলী মামলা করলে গতকাল মঙ্গলবার অন্তরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে অন্তরের মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্য সহ বড়গাছা এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ।
আজ বুধবার বিকেলে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান শুভ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিক বক্তব্যে বলা হয় , গত ২৪ মে বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকেীশলী আবু রায়হান অফিসে ডেকে মীর অমিরুল ইসলাম জাহানের কাছে ঘুষ দাবী করে। ঘুষ দাবী করলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্বাহী প্রকেীশলী জাহানের গাঁয়ে ফাইল ছুঁড়ে মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সন্তানের সামনে জন্মদাতার সাথে কেউ এমন আচরণ করলে কেউ কি সহ্যা করতে পারে। অন্তর শুধু ঘটনার জোড়ালো প্রতিবাদ করে । তাকে মারপিট বা লাঞ্চিত করা বা সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের কোন ঘটনা ঘটেনি।
তিনি উত্তোজিত অবস্থায় চেয়ার থেকে পরে আহত হোন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাটোর জোনের দূর্ণীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান নাটোরে আসার পর থেকে পুরো অফিসকে জিম্মি করে ফেলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
নাটোরে যোগদানের পর থেকেই তিনি পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে কমিশন বাণিজ্য, নিম্ন দরের দরপত্র আহ্বান করে উচ্চ দরে কার্যাদেশ দেওয়া, কাজ না করে বিল উত্তোলন এবং পছন্দের ঠিকাদারদের যোগসাজশে সরকারি অর্থ ভাগবাটোয়ারার শুরু করে। নিম্ন দরের কাজ উচ্চ দরে করার আদেশ দিলে এ সংক্রান্ত সভা করার নিয়ম থাকলেও তিনি তা কখনো করেননি। এতে সরকারি কোষাগারের বিপুল অর্থ গচ্চা গেছে। প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়।
অন্তরের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৌশলীর অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবী জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.