পৌর ৮নং ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে খাদ্য বিতরণ করলেন নওহাটা মেয়র


নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারনে গোটাদেশ লকডাইন হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ইন্ডাষ্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে শ্রমিক ও দিন মজুরদের কাজকর্ম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে গেছে। ঘুরছেনা রিক্সা এবং অটোর চাকা।

কর্মচঞ্চল মানুষগুলো এখন কর্মহীন হয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে। কতদিন এটা চলবে কেউ বলতে পারছেনা। ক্রমন্বয়ে প্রতিটি পরিবারে খাদ্য অভাব দেখা দেয়া শুরু করেছে। সব থেকে বেশী বিপদে পড়েছেন মধ্য শ্রেণির মানুষ। তারা কারো নিকট চাইতে পারছেনা। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিতেও পারছেনা। এই সকল মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি নগদ অর্থের অভাবও দেকা দিয়েছে। কর্মহীন এই মানুষগুলোর পরিবারের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিতে নিজ উদ্যেগে আপ্রাণ চেষ্ট করে যাচ্ছেন নওহাটা পৌর মেয়র আলহাব্জ শেখ মকবুল হোসেন।

মেয়র বলেন, এ পর্যন্ত সরকারীভাবে মাত্র ৫টন চাল তিনি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। সেগুলো কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নওহাটা পৌরসভায় প্রায় ৪৮হাজার ভোটার, এবং সোয়া লক্ষ মানুষের বসবাস। এই সামান্য ত্রাণ দিয়ে এই দূর্যোগে এত গুলো মানুষের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তাঁর নিজস্ব তহবিল হতে এ পর্যন্ত ৭ মেট্রিকটন চাল, তার সঙ্গে ডাল, আলু, লবন, তেল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও প্রতিদিন কোন কোন ওয়ার্ডে অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

আজ রোববার সকালে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময়ে তিনি এই কথা গুলো বলেন।

মেয়র আরো বলেন, নওহাটা থেকে রাজশাহী শহরের বসবাসকারী অনেক লোক এখানে এসে খাদ্য সামগ্রী নিচ্ছেন। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের অনেক কর্মী লোকডাউনের কারনে কাজে যেতে না পেরে এখান থেকে খাদ্য সামগ্রী নিচ্ছেন। এতে করে তিনি ব্যপক পরিমানে চাপের মধ্যে পড়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, খাদ্য সংকতটের কারনে এখন পর্যন্ত পৌরসভার ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডে কোন প্রকার ত্রাণ কিংবা খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেন নি। কবে নাগাদ এই সমস্যা সমাধান হতে তা কেউ বলতে পারছেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যান্য পৌরসভার থেকে তার পৌরসভায় জনসংখ্যা বেশী। জনসংখার উপর নির্ভর করে ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন মেয়র।

তিনি আরো বলেন, সরকার থেকে ১০ টাকা দরে দরিদ্র ও অসহায়দেরন জন্য ন্যায্যমূল্যে যে চাল দেয়া হচ্ছে, তা অপ্রতুল। মাত্র দুই জন ডিলার এই চাল বিক্রয় করছেন। এতে করে অনেক ব্যক্তি চাল পাচ্ছেন না । পৌর এলাকায় অন্ততত ৫ থেকে ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এই চাল বিক্রয় করার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানান মেয়র। সেইসাথে সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষকে ঘরে থাকার আহবান জানান এবং প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.