পৌরসভা ভবনে আটক রেখে নির্যাতন, সইতে না পেরে ৩ বার আত্মহত্যার চেষ্টা

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা ভবনে আটক রেখে মো. শহিদ উল্যাহ্ নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (১৯ জুলাই) বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আটক রেখে স্থানীয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার লোকজন ওই চালককে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার মো. শহিদ উল্যাহ্ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমার অ্যাম্বুলেন্সে করে আওয়ামী লীগ নেতারা অস্ত্র নিয়েছে- এমন একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য আমাকে চাপ দেয় আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন। কিন্তু আমি এতে রাজি না হওয়ায় সোমবার বিকালে আমাকে ডেকে নিয়ে পৌরভবনের তিন তলার একটি কক্ষে প্রথমে আটকে রাখে। পরে দফায় দফায় লোহার রড দিয়ে আমাকে মারধর করে মেয়রের লোকজন।
মারধর সহ্য করতে না পেরে তিনি তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, তাকে যে কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে, সে কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকায় মেয়র তা দেখতে পেয়ে কিছুক্ষণ পর পর লোকজন পাঠানোর কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেননি।
অ্যাম্বুলেন্স চালক বিটিসি নিউজকে বলেন, নির্যাতনকারীরা তার ডান পা ও বাম হাত ভেঙে দেয়। এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে তাকে পুলিশসহ উদ্ধার করে প্রথমে বসুরহাটের একটি ক্লিনিকে পাঠায়। সেখান থেকে তার আত্মীয় স্বজনরা রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করে। তবে রাতে জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার বিটিসি নিউজকে জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ পৌর ভবন থেকে আহত অবস্থায় শহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে চিকিৎসাধীন থাকায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দেননি শহিদ। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.