পৈত্রিক ভিটায় ঘর মেরামতের কাজ করতে গিয়ে ভূমিদস্যুর নির্যাতন ও মারধরের শিকার – সংবাদ সম্মেলনে ভিক্টিমের পরিবারের অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মো. জাবেদ হোসেন প্রকাশ সাদ্দাম নগরীর চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা দীঘির পাড় এলাকার মওলানা নূর আহমদ আল কাদেরীর পুরাতন বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন প্রকাশ সাদ্দাম পেশায় একজন লোকাল বাসের হেলপার। তার পূর্ব পুরুষের দেওয়া ৫ গন্ডা জায়গায় তৈরি কাঁচা ঘরে পরিবারের বয়স্ক মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও এক ভাইসহ মোট ৬ সদস্য নিয়ে বসবাস করে আসছে।
পার্শ্ববর্তী বসবাসরত প্রতিবেশি আলী হাসান (৪৭), আলী হায়দার (৫৫), আলী আক্তার (৫৮), আলী আকবর (৬৫) গং দের সাথে ৫ গন্ডা জায়গার মধ্যে ৩০০ বর্গফুটের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। যা আদালতে মামলা চলমান আছে, মামলার নম্বর ৩৯৭/১৯। তাদের পূর্বপুরুষদের ভিটায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস কররে আসছেন তারা। ঘরটি বাঁশের হওয়ায় তা মেরামতের প্রয়োজন হলে জাবেদ হোসেন তার বড় ভাই মো. আবুল কালামসহ মিলে ঘর মেরামত শুরু করেন।
কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৫ টায় প্রতিবেশি আলী হায়দার (৫৫), আলী হাসান (৪৭), আলী আক্তার (৫৮), আলী আকবর (৬৫) গং চারভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে কেন ঘর তৈরি করছে জানতে চায় এবং তৎক্ষনাৎ লোহা কাঁটার যন্ত্র দিয়ে মেরামতকৃত নতুন ঘরের সিমেন্টের পিলার ও ঘরের টিন ভাঙ্গা শুরু করে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব কথা তুলে ধরেন নির্যাতনের শিকার জাবেদ হোসেন ও তার বড় ভাই মো আবুল কালাম। জায়গাটি তার পূর্বপুরুষদের এবং তার পূর্বপুরুষদের দেওয়া ভিটা বাড়িতে এসে কেন কাজে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে তা জানতে চাইলে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে গেলে আলী হাসান মো. জাবেদ হোসেনকে সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তার ভাই মো. আবুল কালাম এতে বাঁধা দিতে গেলে অপর তিন ভাই আলী হায়দার, আলী আক্তার ও আলী আকবর তাকে চেঁপে ধরে রাখে এবং আলী হাসান মো. জাবেদকে স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠাতে থাকে।
এমন সময় ঘরের ভিতরে থাকা তার মা খতিজা বেগম (৬৬) ও বেড়াতে আসা বোন মমতাজ বেগম (৩৫) এসে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। মা ও বোনকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন আলী হাসান। পূনরায় তারা আবার উঠে এসে বাঁচাতে গেলে তার মা ও বোনকেও থাপ্পর ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
এসময় বোনের কোলে থাকা ১৮ মাসের শিশু সন্তান সুমাইয়াকেও লক্ষ্য করে আঘাত করা হয়। যাতে মাসুম বাচ্চাটি মাথায় ও কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে পরিবারের বাকি সদস্যদের চিৎকার ও শোরগোলে স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
চিকিৎসা শেষে মো. জাবেদ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার স্বশরীরের চান্দগাঁও থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত চার ভাই আলী হায়দার (৫৫), আলী হাসান (৪৭), আলী আক্তার (৫৮), আলী আকবর (৬৫) এর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এতে ভিক্টিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তারা। যে কোন সময় হত্যা, ঘুমসহ বড় ধরনের আশঙ্কা করছেন নির্যাতিত পরিবার। নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. . জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.