পেনশন সংশোধনীর কারণে বিক্ষোভ মোকাবেলায় প্রস্তুত ফ্রান্স

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রমিকরা পেনশন সংশোধনের বিরোধিতায় পরিবহন ও স্কুলে শিক্ষা ব্যাহত করাসহ ধর্মঘট ও বিক্ষোভের আহ্বান করায় ফ্রান্সের সরকার বৃহস্পতিবার সারাদেশে এক দিনের ধর্মঘট ও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার উপস্থাপিত সংশোধনী অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪-এ উন্নীত করবে এবং সম্পূর্ণ পেনশনের জন্য সময় বাড়িয়ে দেবে।
ফ্রান্সের ট্রেড ইউনিয়নগুলো অবিলম্বে গণসংহতির আহ্বান জানিয়েছে। ১২ বছর আগে, যখন অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬২-এ উন্নীত করা হয়েছিল তখন প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের ট্রেড ইউনিয়নগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
ধর্মঘটের ফলে রাজধানীর গণপরিবহন স্থবির হয়ে পড়বে এবং পুরো ফ্রান্স জুড়ে ট্রেনের একটি বড় অংশ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষক ধর্মঘট করবেন এবং অনেক স্কুল দিনের জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই অনেক অভিভাবককে তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করতে হবে।
কট্টর-বাম সিজিটি ইউনিয়নের প্রধান ফিলিপ মার্টিনেজ বলেন, তিনি ধর্মঘটে বিপূল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নামবে বলে আশা করছেন।
তিনি সম্প্রচারক ফ্রান্স ২ কে বলেছেন যে তিনি আশা করেন বেসরকারী খাতের অনেক লোকও সরকারী খাতের কর্মীদের সাথে যোগ দেবে। কিছু বড় কোম্পানির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ধর্মঘটে অংশ নিতে পারে।
ইউনিয়নগুলো ফ্রান্স জুড়ে ২০০ টিরও বেশি শহরে ১০ লাখের বেশি বিক্ষোভকারীর প্রত্যাশা করছে। ফরাসি মিডিয়া জানিয়েছে পুলিশ প্যারিসে ৫০ হাজার থেকে ৮০হাজারসহ ৫৫০,০০০ থেকে ৭৫০হাজার বিক্ষোভকারীর পরিকল্পনা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বুধবার বলেছেন, বিক্ষোভকারিদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি রাজধানীর। তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ‘হিংসাত্মক’ হয়ে উঠতে পারে। এধরণের বিক্ষোভকারিদের সন্ধান করাসহ বিক্ষোভ মোকাবেলায় ১০ হাজার পুলিশ ও জেন্ডারমেস সতর্ক থাকবে।
পরিবহন মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউন ‘একটি নারকীয় বৃহস্পতিবার হবে’ বলে সতর্ক করে যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারে তাদের সকলকে প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.