পেঁয়াজ আমদাীতে শুল্ক আরোপ চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ফের পেঁয়াজ আমদানীতে শুল্ক আরোপ করতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আজ রবিবার (০৩ জানুয়ারী) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ এক দফা নাকচের পর পেঁয়াজের আমদানীতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারী করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে পেঁয়াজ সংকটে পড়ে দেশ। তখন অন্য দেশ থেকে আমদানী সহজ করতে পেঁয়াজের ওপর ধার্য্য ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। তবে সেটি আবারও আরোপ করা হবে। এ বিষয়ে আজ রবিবার (০৩ জানুয়ারী) বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে শুল্ক আরোপের পরামর্শ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত তার স্বার্থের কথা ভেবে কখনও কখনও পেঁয়াজ ছাড় করে। আবার হুট করে বন্ধও করে দেয়। এখন আবার তারা রপ্তানী শুরু করেছে। আমরা দেশের কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করব। ভোক্তারা যাতে কোনো সংকটে না পড়ে, সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। এজন্য উৎপাদকদের লোকসানে ফেলা যাবে না। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
টিপু মুনশী বলেন, ভারতের পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতের পেয়াঁজ যদি ৩৯ টাকা করে বাজারে আসে, তাহলে ঢাকার বাজারে পাইকারি দাম পড়বে ৪৫ টাকার মতো। আর খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তবে দেশী পেঁয়াজের দামও একই রকম। এজন্য ভোক্তারা দেশী পেঁয়াজে ঝুঁকছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে না।
টিপু মুনশী বলেন, পেঁয়াজের সংকট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মার্চের শেষ দিকে দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সেসময় আমরা আবার বিবেচনা করে দেখব, আমদানীর প্রয়োজন পড়বে কিনা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.