পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় হত‍্যার উদ্দেশ্যে হামলা

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার নেটওয়ার্ক কেবল ব্যবসা নিয়ে নিয়ে ব্যাপক বিরোধী সৃষ্টি হয়েছে মো: ওমর ফারুক (ডিস)ফারুক পিতা – মো: নজরুল ইসলাম সাং – চব্বিশ নগর -ইউ পি – ০৪ নং রিশিকুল এবং মো:আনোয়ার হোসেন পিতা – মৃত আবদুল্লাহ সাং – সুন্দর পুর কাঁকন হাট পৌরসভা, গোদাগাড়ী, রাজশাহী দ্বয়ের মধ্যে এলাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে একের পর এক ভয়াবহ আকার ধারন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে যার ফলশ্রুতিতে আনোয়ার হোসেন এর অভিনব কৌশল, ক্ষমতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে কেবল নেটওয়ার্ক এর লাইসেন্সধারী রিশিকুল ইউনিয়ন সার্টিফিকেটধারী ওমর ফারুক ও তার লোকজন হামলার শিকার হচ্ছেন বলে দাবী জানিয়েছেন ( ডিস )ব্যবসায়ী ওমর ফারুক।
তিনি বিভিন্ন গনমাধ্যমে এই বিষয়ে একের পর এক তুলে ধরেছেন যা চোখে পড়ার ও আলোচনার শীর্ষে।তিনি এক প্রশ্নের জবাবে দাবী করেন আমাদের এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রায় আঠারো মাস থেকে আনোয়ার ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ব্যবসার নামে আমি ও আমার লোকজনকে হত্যার হত্যার উদ্দেশে মারধর, বিভিন্নভাবে লাইনের তার কেটে সরিয়ে ফেলা ও হত্যা সহ গুম ও মিথ্যা মামলায় ফাসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন যাতে করে আমি,আমার পরিবারের লোকজন ও কেবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মচারী গণ নিরাপত্তা ও জীবন নিয়ে হুমকিতে দিন যাবন করছে।
তিনি আরও জানান কয়েক মাস পূর্বে আমার শ্যালক দেলোয়ার হোসেনকে তার সন্ত্রাসী ও ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘেরাও করে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করেন।
যা বিভিন্ন মহলের কথায় সমাধান হলে ও ছাড়েনি অপ কৌশল ও সন্ত্রাসী আনোয়ার ও তার লোকজন কারন তার ই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে গত ০৬/০৭/২০২১ইং তারিখ আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার সময় বামলাইল কালভার্ট এর লাইন ঠিক করছিল আমার শ্যালক মো: দেলোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক পৃর্ব পরিকল্পনা অনসারে এক নং আসামী মো: জয়নুদ্দিন ( জনি ) ৩৫ )ও দুই নং আসামী আনোয়ার হোসেন এর নির্দেশে তিন নং আসামি পলাশ ২৭) পিতা – তাহাসিন, সাং বামলাইল তার হাতে থাকা ধারালো লোহার ছুরি বাম পায়ের হেটুর সোজাসুজি ছুরি ঠুকিয়ে দেয় এবং চার নং আসামী মেহেদী পিতা – মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম,সাং বাবলাইল ও হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত নামা আরও দুইজন তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দ্বারা এলোপাথাড়ি মারতে থাকা অবস্থায় আমার শ্যালক দেলোয়ার এর প্যান্টের পকেটে থাকা আশি হাজার টাকা ও ফাইবার মেশিন ছিনতাই করাকালীন জখমী চিৎকার করলে স্বাক্ষী গণ ও লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জখমী দেলোয়ার আশংকা জনক অবস্থা দেখে তাকে রামেক হাসপাতালে ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
করোকালীন সময়ের জন্য দেলোয়ারকে তিনদিন ভর্তি রাখেন এবং জখমিকে বাসায় চিকিৎসার জন্য ঔষধ পত্র লিখে ছাড়পত্র দিয়ে আপাততঃ ছুটি দিয়েছেন সংবাদ সংগ্রহ জখমী দেলোয়ার মারাত্মক ভাবে গুরুতর অসুস্থ। এই ঘটনায় ওমর ফারুক বাদী হয়ে গত ০৮/০৭/২০২১ তারিখে মোট চার জন অজ্ঞাত নামা দুই সহ সর্বমোট ছয়জনকে আসামী করে ওসি গোদাগাড়ী বরাবরে এজাহার গ্রহনের আবেদন করা হলে ওসি কামরুল ইসলাম এজাহার গ্রহণ করেছেন এবং কাঁকন তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এস আই মাজেদ সাহেবকে তদন্তেরও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান এজাহার ভুগ্ত আসামী জামিন না হয়ে আসামীরা এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে এ বিষয়ে গোদাগাড়ী সার্কেল এস পি জনাব আসাদুজ্জামান শিশিদ, ওসি কামরুল ইসলাম, এস আই মাজদ কে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করা হলে সকলেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ব‍‍্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
মামলার বাদি ওমর ফারুক বলেন আনোয়ার এর ষড়যন্ত্রের কারণে এই আঠারো মাসে আমি প্রায় পঁচিশ লাখের উর্ধে আর্থিক ক্ষতিতে জীবন নিঃশ্ব প্রায়।ওমর ফারুক আরও বলেন আমি রিশিকুল ইউনিয়নে বৈধ ডিস লাইন ব্যাবসায়ী এবং আমার শ্যালক দেলোয়ার কেবল নেটওয়ার্ক ব্যাবসায়ী যার পক্ষে কাগজপত্র প্রাথমিকভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু আনোয়ার হোসেন এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র দেখানি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কিছু লোকজন জানান আনোয়ার এবং তার লোকজন একের পর এক ওমর ফারুক ও তার পরিবারের লোকজনকে টার্গেট করে খাম যখম করা হচ্ছে তাতে যে কোন সময় আনোয়ার বাহিনীর হাতে মার্ডার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গোদাগাড়ী প্রতিনিধি মো. আলতাফ হোসেন / রাজশাহী। #

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.