পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের বিরল দৃশ্য দেখল বিশ্ব

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কবিশ্বের দেশে দেশে দেখা মিলল এ বছরের প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপসহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ‘ব্লাড মুন’-এর বিরল ও চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করেছে বহু মানুষ। অনেকটা খালি চোখেই বিরল এ দৃশ্য দেখা যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকতে আগে থেকেই উৎসুক ছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এ অবস্থায় যখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের আলো ঢেকে দেয়, তখন সূর্যের আলো পৃথিবীর প্রান্ত দিয়ে চাঁদে পৌঁছায়। সে সময় প্রতিসরণের ফলে সেই আলো চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদ লাল দেখায়। এটি ‘ব্লাড মুন’ নামে পরিচিত।
সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত চলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এ বছরের প্রথম ব্লাড মুনের দেখা মেলে স্পেনের আগুইমেস শহর; চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো এমনকি ভেনেজুয়েলায়ও। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সেও দেখা মেলে। চমৎকার এই দৃশ্য যেন অন্ধকার আকাশে ছড়াচ্ছে সূর্যাস্তের রক্তিম আভা।

গ্রিসের পজাইডনের প্রাচীন মন্দিরের ঠিক পেছনেই দেখা যায় তামাটে লাল রঙা বিশাল চাঁদ। নয়নাভিরাম এ দৃশ্যে মুগ্ধ হন স্থানীয়রা। বিরল এই ব্লাড মুনের দেখা পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত পর্যটকরাও।
চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে সরাসরি সূর্যের আলো ঢাকা পড়ে যায়। সে সময় প্রতিসরণের ফলে আলো চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই লাল দেখায় চাঁদকে। আর সেটাই ব্লাড মুন নামে পরিচিত।
তবে এ চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে দৃশ্যমান হয়নি। বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। সোমবার (১৬ মে) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় এই চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এটি দৃশ্যমান হবে না। এ জন্য আমাদের কোনো আয়োজন নেই। দৃশ্যমান হলে আমাদের আয়োজন থাকত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারপর এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানান গবেষণা রয়েছে। এ জন্য আমরা সবাইকে চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করেছি।’ তবে সৌরজাগতিক এ ঘটনা সবার জন্য শিক্ষণীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.