পুলিশ হেফাজতে যুবককে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া থানা হেফাজতে শিহাব মল্লিক (২৭) নামে এক যুবককে চোখ বেঁধে ও পেছনে হাতকড়া পরিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুস সালাম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।

হাসপাতালে ভর্তি শিহাব মল্লিক আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিটিসি নিউজকে জানান, গত শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে আর্থিক ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ফুফাতো ভাই মনিরুল ও খাইরুল মল্লিকের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনায় মনিরুল মল্লিক বাদী হয়ে শিহাব ও তার মা বিউটি বেগমকে আসামী করে ওই দিন লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুস সালাম সিদ্দিক রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিহাবকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন আটক শিহাবের সঙ্গে থানায় দেখা করতে তাদেরকে দেখা করতে দেয়নি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এরপর সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে শিহাবকে কোর্টে প্রেরণের আগে এসআই সিদ্দিক শিহাবকে পেছনে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে তিন দফায় পিটিয়ে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে সে কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে কিছুটা সুস্থ্য করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

আদালত চত্বরে তার পরিবারের কাছে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় শিহাব। গতকাল বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হলে শিহাবকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকেরা।

শিহাব ও তার আত্মীয়রা জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুস সালাম সিদ্দিক বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাদীকে খুশি করতে শিহাবের ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে। পুলিশ নির্যাতনের ভয়ে শিহাবের পরিবার বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে আছে।

লোহাগড়া হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার কামরুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, শিহাবেরর শরীরের দুই পায়ের হাঁটুর উপরে এবং কোমরের নীচেই একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে এসআই সিদ্দিক মারপিটের কথা অস্বীকার করে বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সুস্থ অবস্থায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। পরে কি হয়েছে তা জানিনা। ’

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.