বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পুলিশের একটি আধুনিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে প্রতিনিয়ত কাজ করে সংস্থাটি ।
সাম্প্রতিক সময়ে পিবিআই যশোর এর কাছে ভুক্তভোগির পিতা অভিযোগ করেন রুবেল নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে।
রুবেল নিজেকে কখনও পুলিশ সদস্য, আবার কখনও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তার মেয়ের সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন এখন বড় অংকের টাকা দাবী করেন।
তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করতে গিয়ে পিবিআই যশোর জানতে পারে যে প্রতারক রুবেন নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে সেটির ভিডিও ধারণ করা এবং সেই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করাই তার পেশা।
এমনই একজন ভিকটিমের পিতা আসামী রুবেল হোসেনের দ্বারা প্রতারিত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর বরাবরে অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ সুপার অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য এসআই (নিঃ) রেজোয়ান, পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এসআই (নিঃ) রেজোয়ান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী রুবেল হোসেন রুবেল হোসেন (৩৬) একজন প্রতারক।
সে ভিকটিমের সহিত পুলিশের এএসআই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ভিকটিমে সরলতা এবং বিশ্বস্ততার সুযোগে আসামী রুবেলের পরিচিত বাসা বাড়িতে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আসামী রুবেল হোসেন ভিকটিমের নিকট থেকে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়েছে এবং একাধিকবার ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে।
অনুসন্ধানকালে আসামী রুবেল হোসেন উক্ত ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্তাবধানে ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্তে এসআই (নিঃ) রেজোয়ান কর্তৃক গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং ভোর অনুমান ০৪. ঘটিকার সময় আসামী মো: রুবেল হোসেন (৩৬)কে তার এক আত্নীয়ের বাসা থেকে ফৌ: কা: বি: ৫৪ ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকালে আসামীর নিকট থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) রেজোয়ান এর উপর অর্পণ করা হয়। এছাড়াও উক্ত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করে মর্মে স্বীকার করে।
আসামী রুবেল হোসেনকে অদ্য ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং শম্পা বসু, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। উক্ত মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মারুফ সরকার। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.