পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল-মাদক ফেলে পালিয়ে গেলেন চেয়ারম্যান!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পুলিশি অভিযানে মোটরসাইকেল ও মাদক ফেলে পালিয়ে গেলেন সাবেক রমনা ইউপি চেয়ারম্যান নুর-ই এলাহী তুহিন। এ সময় তার অপর ৭ মাদকসেবী সঙ্গীকে আটক করেছে চিলমারী মডেল থানা পুলিশ।
অভিযানে ১০০ গ্রাম গাঁজা ও সেবনের কলকি এবং ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক নামে অপর আরেকজন পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।
পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে চিলমারী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে দুপুরে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর-ই এলাহী তুহিনকে ১নং আসামী করা হয়েছে। দুটি জব্দকৃত মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি তার।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ পুরাতন বাজারে জনৈক হোসেন আলীর খাবারের দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। অভিযানকালে সাবেক রমনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর-ই এলাহী তুহিন ও আব্দুর রাজ্জাক নামে দুজন পালিয়ে যান।
অভিযান পরিচালনা করেন চিলমারী মডেল থানার এসআই বোরহানুল সুলতানুল আলম, এসআই আশেদুজ্জামান, এএসআই জিল্লুর রহমান, এএসআই সফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল আজাহার আলী ও কনস্টেবল আলমগীর বাদশা।
আটককৃতরা হলেন- রমনা মিস্ত্রীপাড়া এলাকার মৃত আবু বক্করের ছেলে সোহেল রানা (৩০), জোড়গাছ নতুন বালাজান এলাকার নজির হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৪৬), মুদাফৎ থানা বেলের ভিটা এলাকার মৃত আহসান হাবীবের ছেলে বদরুল আলম (৪৩), একই এলাকার আব্দুল খলিলের ছেলে আশরুফুল ইসলাম (২৬), খড়খড়িয়া ভট্টপাড়া এলাকার আজিজুল হক ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৪০), জোড়গাছ মণ্ডলপাড়া এলাকার নজির হোসেনের ছেলে ফারুক মিয়া (৪০) ও পশ্চিম খড়খড়িয়া এলাকার জাহেদুল হকের ছেলে হোসেন আলী (২৩)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার সকালে চিলমারী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে দুপুরে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.