পুলিশের ‌’লাঠির আঘাতে’ মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের নিচে

 

 

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় ট্রাফিক ‘পুলিশের লাঠির’ আঘাতে মোটরসাইকেল আরোহী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ শহরের বাইপাস ইকড়তাড়া গ্রামের নওগাঁ-বগুড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেল চালক আসাদুল ইসলাম প্রত্যাশা ক্লিনিকের মালিক। তিনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বলিরঘাট গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রমজান আলীর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী প্রায় ১ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।

অবরোধে সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসাদুল ইসলাম সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ইকড়তাড়া গ্রামের নওগাঁ-বগুড়া সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রমজান আলী তাকে থামার জন্য সংকেত দেন। তিনি থামার আগেই পুলিশ তার বাম হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে পরে যান। অপরদিকে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই ট্রাফিক পুলিশকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুশতানজিদা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) লিমন রায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই।

নওগাঁ ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) সারোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ করেন।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.