বিশেষ প্রতিনিধি:রাজশাহী’র জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) ও অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান, মোঃ মতিউর রহমান সিদ্দিকি দ্বয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) সারাদিন-রাত ও দিবাগত রাত্রি আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ২০২০ ইং রাত ১২ ঘটিকার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় তানোর থানা এলাকায় নিয়োমিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তানোর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসানের চৌকস নেতৃত্বে পৃথক পৃথকভাবে ৭-টি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ চোলাইমদ উদ্ধার পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানাসহ বিভিন্ন মামলায় ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হন তানোর থানা পুলিশ। অভিযান গুলোতে অংশ গ্রহণ করেন তানোর থানার চৌকস বেশ কয়েকজন অফিসার ও পুলিশ সদস্য বৃন্দরা।
প্রথম অভিযানে: এসআই (নিঃ) মোঃ আনিছুর রহমান তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় আসামী, প্রদীপ হালদার (৩২), পিতা- মৃত হরেন হালদার, সাং- মাসিন্দা (হালদারপাড়া) থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে ১০ গ্রাম হেরোইন’সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
তৃতীয় অভিযানে: এসআই (নিঃ) মোঃ ছাইফুল ইসলাম তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় আসামী, মোঃ খলিল মন্ডল (৪৮), পিতা- মৃত দেলজান মন্ডল সাং- টকটকিয়া, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে ২০ লিটার চোলাইমদ’সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
চতুর্থ অভিযানে: এসআই (নিঃ) মোঃ সানোয়ার হোসেন তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় মুলতবী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী, মোঃ বাসিব, পিতা- মোঃ রিয়াজ, সাং- চাঁদপুর, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
পঞ্চম অভিযানে: এএসআই (নিঃ) মোঃ হাফিজুল ইসলাম-২ তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় মুলতবী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী, মোঃ তুহিন আলী, পিতা- মোঃ আঃ হান্নান শেখ, সাং- নবনবী, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
ষষ্ঠ অভিযানে: এসআই (নিঃ) মোঃ ছাইফুল ইসলাম তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় মুলতবী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী, মোঃ রাসেল ওরফে রাইফুল ইসলাম, পিতা- মোঃ শাহাজাহান আলী, সাং- বৈদ্যপুর, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
সপ্তম অভিযানে: এএসআই (নিঃ) মোঃ আতিকুর রহমান তানোর থানা, রাজশাহী সঙ্গীয় অফিসার ও পুলিশ ফোর্স’সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন সময় মুলতবী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী, মোঃ মামুনুর রশিদ, পিতা-মৃত সৈবুর রহমান, সাং- রানিয়াল, থানা- তানোর, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের রাষ্ট্রীয় বিধি মোতাবেক বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ২০২০ ইং তারিখ পুলিশ হেফাজতে বিজ্ঞ অদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযানের বিষয় গুলো নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের শ্রাদ্ধীয় রাজশাহী’র জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) ও অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান, মোঃ মতিউর রহমান সিদ্দিকি স্যারদ্বয়ের সঠিক দিক নির্দেশ অনুয়ায়ী গতকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) সারাদিন-রাত ও দিবাগত রাত অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ২০২০ ইং রাত ১২ ঘটিকার পর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা অভিযান গুলো পরিচালনা করা হয়। আমরা বিভিন্ন ভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তানোর থানার আওতাধীন এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে চোলাইমদ উদ্ধারসহ অন্যান্য মামলায় মোট-১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
অফিসার ইনচার্জ আরো বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আটককৃত-১০ জন আসামীকে গ্রেফতার পূবর্ক বিধি মোতাবেক প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ শেষে পুলিশ হেফাজতে বিজ্ঞ অদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নিয়মিত ভাবে শ্রাদ্ধীয় পুলিশ সুপার মহোদয়’সহ উর্ধতন কর্মকর্তাদ্বয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমাদের নিয়মিত চলমান অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বর্তমানে আগের চেয়ে তানোর থানা এলাকায় মাদকসহ অন্যান্য অরাজকতা গুলো অনেক অংশেই কমিয়ে আন্তে পেরেছি। আমরা বরাবরের মতোই দেশ ও জাতির কল্যানার্থে তানোর থানা এলাকায় শান্তি বজায়ের লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান ওসি রাকিবুল হাসান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.