পুলিশের গাড়ীতে অসুস্থ রুপাকে বাড়ি পৌছে দিলেন এএসপি জামিল


নাটোর প্রতিনিধি: দুদিন আগে মেয়ে রুপা আকতার এর পেটে ব্যাথার কারনে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ছিলেন সদর উপজেলার বারুহাস গ্রামের নাসিমা বেগম। মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ না হলেও আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) দুপুরে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু বিধি নিষেধের কারনে পায়নি কোন যানবাহন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে বাস টার্মিনালে যাচ্ছিলেন অসুস্থ রুপা আকতার, তার মা নাসিমা বেগম এবং বয়স্ক দাদী নাজমা বেগম।
অসুস্থ রুপা আকতার এবং তার দাদীর হাঁটতে কস্ট হলেও সরকারী ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনের কারনে হাসপাতাল থেকে কোন যানবাহন না পেয়ে পাঁয়ে হেঁটেই তাদের বাড়ি যেতে হচ্ছিল। দাদী নাজমা বেগমও ঠিকমত হাঁটতে পারছে না।
এসময় ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে চা চক্র শেষে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাকে বিদায় জানাতে শহরের কানাইখালি এলাকায় ক্লাবের মুল ফটকের সামনে সিংড়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন এবং সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক হালিম খান দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
এসময় রুপা আকতার ও তার মা এবং দাদী কোন যানবাহন না পেয়ে বারুহাসে যাওয়ার জন্য হেঁটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দাদী নাজমা বেগম বয়স্ক হওয়ার কারনে হাঁটতে পারছিলেন। সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতারের গানম্যান এসে তাকে বলেন স্যার অসুস্থ রোগি সহ এই মহিলারা কোন যানবাহন পাচ্ছে না। তারা আমাদের গাড়ীতে যেতে চায়।
কোন মন্তব্য না করেই সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার তাদের গাড়ীতে উঠতে বললেন। এতে করে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন তারা। পরে তাদেরকে গন্তব্য স্থানে পৌছে দেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার বিটিসি নিউজকে বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আর পুলিশ সব সময় সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে পাশে রয়েছে। লকডাউনে কোন যানবাহন না পাওয়ার কারনে অসুস্থ রুপা আকতার সহ তার মা এবং দাদীকে বাড়িতে পৌছে দিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.