পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলেননি বাইডেন : হোয়াইট হাউজ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পোল্যান্ড সফরে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ায় ক্ষমতার পট পরিবর্তনের কথা বলেননি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ এর রয়্যাল ক্যাসেলে বক্তৃতা করার সময় বাইডেন বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের দোহাই, এই ব্যাক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’। তার এই বক্তব্যের পর ক্রেমলিন ক্ষোভ প্রকাশ করলে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে যে এটি শাসন পরিবর্তনের আহ্বান ছিল না।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ছিল যে পুতিনকে তার প্রতিবেশী বা এই অঞ্চলের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেওয়া যাবে না। তিনি যেখানে সেখানে ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকার পেতে পারেন না। তিনি রাশিয়ায় পুতিনের শাসনব্যবস্হার পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেননি।’
অন্যদিকে, রাশিয়ার বর্তমান শাসন ব্যবস্হায় পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
জেরুজালেম সফরে গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের ব্লিংকেন বলেন, আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট গত রাতে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন খুব সহজভাবে। তিনি বলতে চেয়েছেন পুতিনকে যুদ্ধ শুরু করা কিংবা ইউক্রেন বা অন্য কারো ওপর আগ্রাসন চালানোর ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানো রাশিয়ার কৌশলগত ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। পোল্যান্ডে দুই দিন সফর শেষে শনিবার এ কথা বলেন তিনি।
ক্রেমলিনের বক্তব্য: রাশিয়ার জনগণের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। জবাবে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেছেন, পুতিনকে ক্ষমতায় এনেছে জনগণ। তাই তারাই সিদ্ধান্ত নেবে তার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি।
পারমাণবিক সংঘাতের হুমকি: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের এখনকার উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু সংঘাতের ঝুকি এখনো বিদ্যমান। কেউ কোনো যুদ্ধ চায় না। কিন্তু পরিস্হিতি কখন কোনদিকে যায় তা বলা যায় না।
রুশ নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান বলেন, রাশিয়ার বিভিন্ন স্হাপনাকে পারমাণবিক অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ন্যাটো। রাশিয়ার ওয়্যারহেডগুলোও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে্রর দিকে তাক করা। তাই একটি দায়িত্বশীল নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। মেদভেদেভ উল্লেখ করেন, বর্তমান সংকট স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের চেয়েও খারাপ অবস্হায় চলে গেছে। (সূত্র: বিবিসি)। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.