পুঠিয়ায় অপহরণ করে ব্ল্যাক মেইল, মারধর করায় অভিযুক্ত ইমনের গ্রেফতার ও শাস্তি’র দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর অপহরণ করে ব্ল্যাক মেইল ও মারধর করায় অভিযুক্ত বন্ধু ইমনের গ্রেফতার ও শাস্তি’র দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোঃ আবু বক্কর হাবিব (২২) নামের এক যুবক।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৫টায় রাজশাহী মহানগরীর একটি স্থানীয় রেষ্টুরেন্টে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
ভুক্তভোগী মোঃ আবু বক্কর হাবিব, তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া থানার তেবাড়িয়া গ্রামের মোঃ শাহীন আহমেদের ছেলে। অপরদিকে তার বন্ধু (চাচাত ভাই) মোঃ মোসাদ্দেক মাহমুদ ইমন (২৩), তিনি একই এলাকার মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ আবু বক্কর হাবিব। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (চাচাত ভাই) মোঃ মোসাদ্দেক মাহমুদ ইমন সে গত (৯ আগস্ট ২০২০) মাদক-সহ বাগমারা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এরই জেরে গত ১৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধা ৭টায় তার মুঠো ফোন থেকে ০১৭২০-৫২৩৯০৩ আমার মুঠো ফোনে-০১৩১৫-৫০১১৩৯ ফোন দিয়ে ডাকে।
এরপর সে আমার বাড়িতে এসে তার নানী অসুস্থ বলে ডেকে বাসুপাড়া এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি নির্জন স্থানে অজ্ঞাত ৭/৮ জন আগে থেকেই ছিলো। আমি ইমনের মোটরসাইকেল থেকে নামতেই ৪জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমার চোখ ও দুই হাত বেঁধে ফেলে এবং আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় ইমন বলে আমাকে নির্দোষ প্রমান করতে রাব্বি ও মোমিনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে হবে। আমি তাদের কথায় রাজি না হলে ইমন ও তার সঙ্গীরা প্রায় ১ঘন্টা যাবত শারীরিক ভাবে ব্যপক নির্যাতন করে এবং অন্তকোশে লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। একই সময় তারা আমার বাবা-মা’কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাদের শেখানো কথা বলি। ওই সময় তারা আমার বক্তব্য রেকর্ড করে। একই দিন রাতে ইমন ও তার দুই চাচা আরিফ ও তারিফ আমার দাদা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফাকে ঘুমন্ত অবস্থা থেকে ডেকে তুলে এবং আমার বড় আব্বা আবু হায়াতকে ডেকে আনে এবং তাদের উপস্থিতিতে পূর্বের শেখানো কথা পূণরায় বলিয়ে নেয়। একই সময় তার দুই চাচা আরিফ ও তারিফ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক সকলের সামনে বলিয়ে নেয় এই মাদক মামলার সাথে আমি হাবিব নিজেও জড়িত। এরপর আদালতে স্বাক্ষী দেব মর্মে আমাকে তারা ছেড়ে দেয়।
ঘটনার দুইদিন পর দূস্কৃতীকারী ইমন আমার পিতা মোঃ শাহীন আহমেদকে বলে আপনার ছেলে সকল বিষয়ে স্বিকারোক্তি দিয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব এবং যেখানে পাব সেখানেই মারবো। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তা হিনতায় ভুগিতেছি।
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে ভুক্তভোগী যুবক আবু বক্কর হাবিব বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জানান (ওসি) মোঃ ফারুক হোসেন জানান, অভিযোগটি আমি এখনো দেখিনি। তবে রাতে অভিযোগটি দেখে তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেব বলেও জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো.মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.