পিএইচডি’র জন্য বৃত্তি দিচ্ছে সিঙ্গাপুর’র বিশ্ববিদ্যালয়

(পিএইচডি’র জন্য বৃত্তি দিচ্ছে সিঙ্গাপুর’র বিশ্ববিদ্যালয়–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেতে পারেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি দেশ।

বিশ্বে প্রচলিত প্রায় সব বিষয়েই পড়ার সুযোগ রয়েছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এশিয়ার এই দেশটিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনার অনেক সুযোগ।

সিঙ্গাপুরে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যার মধ্যে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এবং নানইয়াং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্বের সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশ্বব্যাপী সিঙ্গাপুরের সুনাম রয়েছে। বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক-এ এই দেশ বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছে। এশীয় অঞ্চলে যা সর্বোচ্চ।

সিঙ্গাপুরে ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি, ডক্টরেট ডিগ্রি ছাড়াও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন। ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর ফুল টাইম পড়াশোনা করতে হয়।

মাস্টার ডিগ্রির জন্য সাধারণত এক থেকে তিন বছর ও ডক্টরাল ডিগ্রির জন্য সাধারণত ২ থেকে ৫ বছরের ফুল টাইম স্টাডির প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে অনেক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে সীমিত আকারে। খণ্ডকালীন কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী সিঙ্গাপুরে পিএইচডি’র জন্য ফুল ব্রাইট বা ফুল ফ্রি বৃত্তি দিয়ে থাকে। বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য পিএইচডি’র কিছু বৃত্তি ঘোষণা করেছে। যে কোন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরাও চেষ্টা করতে পারেন।

যেসব বৃত্তির আবেদন চলমান:
সিঙ্গাপুর ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এই বৃত্তিতে, বিমান ভাড়া, টিউশন ফি, মাসিক খরচ, থাকা ও খাওয়া খরচ, সম্মেলনের খরচ, গবেষণার খরচও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ডিগ্রি অর্জনকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের সুযোগও করে দেওয়া হবে।

৪ বছর মেয়াদী এ বৃত্তিটি এজেন্সি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, ন্যান্যাং টেকনোলজি ইউনির্ভাসিটি ও সিঙ্গাপুর ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন’র সমন্বয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে।

যে বিশেষায়িত বিষয়ে এ পিএইচডি’র বৃত্তি দেওয়া হবে:
বর্তমানে চলমান আবেদনে দুইটি বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তা হচ্ছে- বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং ফিজিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

যেসব যোগ্যতা লাগবে:
# যে কোন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
# পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যে সব যোগ্যতা লাগবে তার সব পূরণ করতে হবে।
# ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সূচকে আইইএলটিএস/টোফেল’র শর্ত পূরণ করতে হবে।
# এই বৃত্তি ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শুরু করার সকল শর্ত পূরণ করতে হবে।
# একাডেমিক বিষয়ে ভালো কোন রেফারেন্স লাগবে।

কতজন এ বৃত্তি পাবেন:
বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এ বৃত্তি কত জনকে প্রদান করবে তা জানায়নি।

নির্বাচন প্রক্রিয়া:
ভর্তির আবেদন, একাডেমিক রেকর্ড, গবেষণার উদ্দেশ্য বিবৃতি, প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সনদের উপর ভিত্তি করে আবেদনকারীদের মূল্যায়ন করা হবে। চমৎকার একাডেমিক রেকর্ডকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। যারা গবেষণার চূড়ান্ত মাত্রার আগ্রহী তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে। কিভাবে আবেদন করবেন, কি কি লাগবে ইত্যাদি সকল কিছুই তাদের ওয়েবসাইটে পাবেন। কোন হার্ডকপি (চিঠির মাধ্যমে বা হাতে হাতে) পাঠানো যাবে না।

চলতি বছরের ১ ডিসেম্বেরের মধ্যে এ আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এই তারিখের পর কোন আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বৃত্তি পেয়েছেন কিনা এমন ফলাফলের জন্য এজেন্সি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি এন্ড রিসার্চ’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এই বৃত্তিটি অতিমাত্রায় প্রতিযোগিতামূলক বলে আবেদনকারীর অবশ্যই ভালো একাডেমিক রেকর্ড থাকতে হবে। এই বৃত্তি পেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত (চার বছর) সকল খরচ নিয়ে কোন চিন্তাই থাকছে না। অনলাইন ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন না আবেদনকারীরা।

প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট: 
https://www.a-star.edu.sg/

https://www.sutd.edu.sg/  #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.