বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিৎজের ঘরে ফেরার পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের নির্দেশে ইরানি সম্ভাব্য হামলার জবাব দিতে পারস্য উপসাগরে ওঁত পেতে রয়েছে মার্কিন নৌবহর।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার বরাতে জানা যায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনঘাঁটিগুলিতে ইরানি ফৌজ হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকদের মতে, সেই আশঙ্কা যেন ফেলে দেবার মতো নয়, এ ব্যাপারে পেন্টাগনে একাধিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিআইএ।
বিশেষ করে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই ফুঁসছে তেহরান। গত রবিবার (০৩ জানুয়ারী) ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার সোলেমানির মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সেনাঘাঁটিগুলিতে আক্রমণের সম্ভাবনায় বিশেষ সতর্ক রয়েছে মার্কিন সেনারা।
পালটা হামলার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে আমেরিকা এবং আণবিক শক্তিচালিত মার্কিন যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’কে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন রাখা হয়েছে। একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারের মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলোকে মিলিয়ে বলা হয় ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’। যেহেতু মার্কিন রণতরীগুলি আণবিক শক্তি চালিত তাই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সাগরে থাকতে সক্ষম।
গত নভেম্বর থেকেই পারস্য উপসাগরে টহল দিচ্ছে রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ। কিন্তু গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারটিকে মার্কিন নৌঘাঁটিতে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন কার্যনির্বাহী প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস্টোফার মিলার। ফলে বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন যে, বিদায়বেলায় ইরানের সঙ্গে সঙ্ঘা মিটিয়ে নিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু গত রবিবার (০৩ জানুয়ারী) একটি বিবৃতি জারী করে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইরান যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, সেই কথা মাথায় রেখে আপাতত নিমিৎজকে ওই অঞ্চলে মোতায়েন রাখা হয়েছে।(সূত্র: আলজাজিরা)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.