নিজস্বপ্রতিবেদক: পাবনা-৩ আসনে (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী পুলিশ সুপারের (চাটমোহর সার্কেল) বিরুদ্ধে। এছাড়াও নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে প্রতীকার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাবনা-৩ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার। এর আগে সম্প্রতি ইউএনও ও চাটমোহর সার্কেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কমিশনার (সিইসি) বরাবর অভিযোগ করেন আব্দুল হামিদ মাস্টার।
লিখিত অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাবি, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রেদুয়ানুল হালিম এবং সহকারী পুলিশ সুপারের (চাটমোহর সার্কেল) নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। তারা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তারা দায়িত্বে থাকলে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে তাদেরকে দ্রুত করা প্রয়োজন। এছাড়াও চাটমোহর, ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। ফলে তারাও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তাদের কারণে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি।
এবিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উনি অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেগুলো মিথ্যা। আমরা তো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। ’
এবিষয়ে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও পাবনা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.