পাবনার হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের ১০ টাকা কেজি চাল নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নে হতদরিদ্রের রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাল নিয়ে চালবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাভুক্ত এক হাজার কার্ডের মধ্যে ২৬৫টি বেওয়ারিশ কার্ড এবং ৩০০ (তিনশত) জন লোক জানেই না তাদের নামে নাজ্যমূল্যে কার্ড অন্তভূক্ত রয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সুজানগর উপজেলাধীন হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকার ঘোষিত রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে এক হাজার পরিবারের রেশন কার্ডের তালিকা বিদ্যামান। এই তালিকাটি হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত।

এই তালিকায় প্রায় সাড়ে ৫ শত (সাড়ে পাঁচশত) কার্ডে অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অপকর্মের সাথে হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যানের পুত্র ডিলার সাইফুল ইসলাম, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মো. আব্দুস শুকুর, ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকাশ মোল্লাসহ আরও কয়েকজন ইউপি সদস্যর সম্পক্তৃতা রয়েছে।

বর্তমানে দূর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন জনগণের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে ত্রাণ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে তালিকা করতে গিয়ে পূর্বের তালিকার চালবাজি ও জালিয়াতি ধরা পরে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২নং ওয়ার্ডে তালিকার ক্রমিক নং ২০১ হতে ২৭৫ মোট ৭৫ জন কার্ডধারী, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৭৬ হতে ৪০০ জন মোট ২৫ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৫০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৯০ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২৫ জন। ইউনিয়নে ১,০০০(এক হাজার) কার্ডের মধ্যে ২৬৫জন বেওয়ারিশ কার্ড আছে।

কার্ড অন্তভুক্ত ৩০০ (তিনশত) লোক জানেই না তাদের নামে নাজ্যমূল্যে কার্ড অন্তভূক্ত রয়েছে। তা ছাড়া কোন মাসে ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে ১ কেজি দিয়ে কার্ডে ৩০কেজি লেখে এইসব কার্ড ভুক্তভোগীদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ডিলারগণ যোগসাজসে দির্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছে। গরিব অসহায় দিনমুজুর ও কর্মহীনদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান, কয়েকজন মেম্বার ও ডিলারগণ আত্মসাৎ করে আসছে।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে বঞ্চিত জনগণ হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করলে দুর্নীতি ও আত্মসাতের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়।

২৮/০৪/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান সাহেব ফেসবুক পেজে বলেন, কিছু কার্ড পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে কিনা তার জানা নেই। তার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে যাদের নামে কার্ড ছিল তাহা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন যাদের নামে কার্ড করা হয়েছে তাদের জানানো বা প্রদান করা হয় নাই। এইভাবেই প্রতারনার মাধ্যমে হতদরিদ্রের চাউল চেয়ারম্যান ডিলারদের সাথে যৌথভাবে বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছে।

এ ব্যাপারে বঞ্চিতরা পাবনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর অভিযোগপত্র পাঠিছেন।

 

বরাবর,
জেলা প্রসাসক,পাবনা

বিষয়ঃ-হাটখালী ইউনিয়নে হতদরিদ্রের রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়া, মাটিকাটা মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গ নিয়ে আবেদন।

যথাবিহিত সম্মান পূর্বক আবেদন এই যে, আমরা সুজানগর উপজেলাধীন হাটখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকার ঘোষির্ত রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল অত্র ইউনিয়নে খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে এক হাজার পরিবারের রেশন কার্ডের তালিকা যাহা চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত।

চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ডিলার সাইফুল ইসলাম, তার গনিষ্ঠ আত্বীয় মোঃ আঃ শুকুরের নামে ডিলার দিয়ে যোগ সাজসে ইউনিয়নে কিছু ভুয়া নামসহ প্রায় দুইশত কার্ডের চাউল প্রকল্প চালু হতে অদ্যবধি পর্যন্ত আত্মসাৎ করে আসছে।

বর্তমানে দূর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন জনগণের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে ত্র্যান কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন ত্র্যান কমিটির মাধ্যমে তালিকা করতে গিয়া পূর্বের তালিকার জালিয়াতি ধরা পরে। ২নং ওয়ার্ডে তালিকার ক্রমিক নং ২০১ হতে ২৭৫ মোট ৭৫ জন কার্ডধারী, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৭৬ হতে ৪০০ জন মোট ২৫ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৫০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৯০ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২৫ জন। ইউনিয়নে ১,০০০(এক হাজার) কার্ডের মধ্যে ২৬৫জন বেওয়ারিশ কার্ড আছে।

কার্ড অন্তভুক্ত ৩০০(তিনশত) লোক জানেই না তাদের নামে লেজ্যমূল্লের কার্ড অন্তভ’ক্ত রয়েছে তা ছারা কোন মাসে ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে ১ কেজি দিয়ে কার্ডে ৩০কেি লেখেএইসব কার্ড ভুক্তভোগীদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,মেম্বার ও ডিলারগণ যোগসাজসে দির্ঘদিন আত্বসাৎ করে আসছে। গরিব অসহায় দিনমুজুর ও কর্মহীনদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,কিছু মেম্বার ও ডিলারগণ আত্বসাৎ করে আসছে।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নের বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাতের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়ার প্রকল্পেও চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে ২০,০০০/= থেকে ২৫,০০০/= টাকা নিয়েছেন কিন্তু এ পর্যন্ত ঘর দেন নাই। চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ যৌথভাবে আত্মসাৎ করেছেন।

২৮/০৪/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান সাহেব ফেসবুক পেজে বললেন যে, কিছু কার্ড পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে কিনা তার জানা নেই। তার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে যাদের নামে কার্ড ছিল তাহা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন যাদের নামে কার্ড করা হয়েছে তাদের জানানো বা প্রদান করা হয় নাই। এইভাবেই প্রতারনার মাধ্যমে হতদরিদ্রের চাউল চেয়ারম্যান ডিলারদের সাথে যৌথভাবে বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছে। বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে ৩,০০০/= (তিন হাজার) টাকা নিয়ে ভাতার কার্ড দেওয়া হয়। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের ভাতার কার্ড হয় না। অন্যদিকে মাটি কাটা মহিলাদের কাছ থেকে ২০,০০০/=টাকা নিয়েও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। বিধায় ফেসবুক,পত্র প্রত্রিকা ও আনন্দটিভিতে নিউজ হওয়ায় হাটখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাড়া মহল্লায় টান টান উত্তেজনার সম্ভবনা রয়েছে।

অতএব, জনাবের নিকট আবেদন, গরিব অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর সান্তির কথা বিবেচনা করে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

অবগতি অনুলিপিঃ-
০১। জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা।

বিনীত নিবেদক

০২। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সুজানগর,পাবনা।                                                                        হাটখালী ইউনিয়ন বাসির পক্ষে

 

বরাবর,
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সুজানগর, পাবনা।

বিষয়ঃ- হাটখালী ইউনিয়নে হতদরিদ্রের রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়া, মাটিকাটা মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গ নিয়ে আবেদন।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মান পূর্বক আবেদন এই যে, আমরা সুজানগর উপজেলাধীন হাটখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকার ঘোষির্ত রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল অত্র ইউনিয়নে খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে এক হাজার পরিবারের রেশন কার্ডের তালিকা যাহা চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত।

চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ডিলার সাইফুল ইসলাম, তার গনিষ্ঠ আত্বীয় মোঃ আঃ শুকুরের নামে ডিলার দিয়ে যোগ সাজসে ইউনিয়নে কিছু ভুয়া নামসহ প্রায় দুইশত কার্ডের চাউল প্রকল্প চালু হতে অদ্যবধি পর্যন্ত আত্মসাৎ করে আসছে।

বর্তমানে দূর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন জনগণের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে ত্র্যান কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন ত্র্যান কমিটির মাধ্যমে তালিকা করতে গিয়া পূর্বের তালিকার জালিয়াতি ধরা পরে।

২নং ওয়ার্ডে তালিকার ক্রমিক নং ২০১ হতে ২৭৫ মোট ৭৫ জন কার্ডধারী, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৭৬ হতে ৪০০ জন মোট ২৫ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৫০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৯০ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২৫ জন। ইউনিয়নে ১,০০০(এক হাজার) কার্ডের মধ্যে ২৬৫জন বেওয়ারিশ কার্ড আছে। কার্ড অন্তভুক্ত ৩০০(তিনশত) লোক জানেই না তাদের নামে লেজ্যমূল্লের কার্ড অন্তভ’ক্ত রয়েছে তা ছারা কোন মাসে ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে ১ কেজি দিয়ে কার্ডে ৩০কেি লেখেএইসব কার্ড ভুক্তভোগীদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,মেম্বার ও ডিলারগণ যোগসাজসে দির্ঘদিন আত্বসাৎ করে আসছে। গরিব অসহায় দিনমুজুর ও কর্মহীনদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,কিছু মেম্বার ও ডিলারগণ আত্বসাৎ করে আসছে।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নের বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাতের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়ার প্রকল্পেও চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে ২০,০০০/= থেকে ২৫,০০০/= টাকা নিয়েছেন কিন্তু এ পর্যন্ত ঘর দেন নাই। চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ যৌথভাবে আত্মসাৎ করেছেন।

২৮/০৪/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান সাহেব ফেসবুক পেজে বললেন যে, কিছু কার্ড পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে কিনা তার জানা নেই। তার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে যাদের নামে কার্ড ছিল তাহা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন যাদের নামে কার্ড করা হয়েছে তাদের জানানো বা প্রদান করা হয় নাই।

এইভাবেই প্রতারনার মাধ্যমে হতদরিদ্রের চাউল চেয়ারম্যান ডিলারদের সাথে যৌথভাবে বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছে। বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে ৩,০০০/= (তিন হাজার) টাকা নিয়ে ভাতার কার্ড দেওয়া হয়। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের ভাতার কার্ড হয় না। অন্যদিকে মাটি কাটা মহিলাদের কাছ থেকে ২০,০০০/=টাকা নিয়েও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। বিধায় ফেসবুক,পত্র প্রত্রিকা ও আনন্দটিভিতে নিউজ হওয়ায় হাটখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাড়া মহল্লায় টান টান উত্তেজনার সম্ভবনা রয়েছে।

অতএব, জনাবের নিকট আবেদন, গরিব অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর সান্তির কথা বিবেচনা করে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

অবগতি অনুলিপিঃ-
০১। জেলা প্রসাসক,পাবনা।                                                                                                          বিনীত নিবেদক
০২। জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন,পাবনা সদর, পাবনা।                                                            হাটখালী ইউনিয়ন বাসির পক্ষে

গংযুক্তঃ-
০১। ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের অনুমোদিত তারিকা।

 

বরাবর,
জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা।

বিষয়ঃ-হাটখালী ইউনিয়নে হতদরিদ্রের রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়া, মাটিকাটা মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গ নিয়ে আবেদন।

যথাবিহিত সম্মান পূর্বক আবেদন এই যে, আমরা সুজানগর উপজেলাধীন হাটখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকার ঘোষির্ত রেশন কার্ডের দশ টাকা কেজি চাউল অত্র ইউনিয়নে খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে এক হাজার পরিবারের রেশন কার্ডের তালিকা যাহা চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত। চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ডিলার সাইফুল ইসলাম, তার গনিষ্ঠ আত্বীয় মোঃ আঃ শুকুরের নামে ডিলার দিয়ে যোগ সাজসে ইউনিয়নে কিছু ভুয়া নামসহ প্রায় দুইশত কার্ডের চাউল প্রকল্প চালু হতে অদ্যবধি পর্যন্ত আত্মসাৎ করে আসছে।

বর্তমানে দূর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন জনগণের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে ত্র্যান কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন ত্র্যান কমিটির মাধ্যমে তালিকা করতে গিয়া পূর্বের তালিকার জালিয়াতি ধরা পরে। ২নং ওয়ার্ডে তালিকার ক্রমিক নং ২০১ হতে ২৭৫ মোট ৭৫ জন কার্ডধারী, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৭৬ হতে ৪০০ জন মোট ২৫ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৫০ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৯০ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২৫ জন। ইউনিয়নে ১,০০০(এক হাজার) কার্ডের মধ্যে ২৬৫জন বেওয়ারিশ কার্ড আছে।

কার্ড অন্তভুক্ত ৩০০(তিনশত) লোক জানেই না তাদের নামে লেজ্যমূল্লের কার্ড অন্তভ’ক্ত রয়েছে তা ছারা কোন মাসে ত্রিশ কেজি চালের পরিবর্তে ১ কেজি দিয়ে কার্ডে ৩০কেি লেখেএইসব কার্ড ভুক্তভোগীদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,মেম্বার ও ডিলারগণ যোগসাজসে দির্ঘদিন আত্বসাৎ করে আসছে। গরিব অসহায় দিনমুজুর ও কর্মহীনদের কার্ডের চাউল চেয়ারম্যান,কিছু মেম্বার ও ডিলারগণ আত্বসাৎ করে আসছে।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নের বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাতের কথা তুলে ধরেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গৃহহীন পরিবারের বিনামুল্যে ঘর দেওয়ার প্রকল্পেও চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে ২০,০০০/= থেকে ২৫,০০০/= টাকা নিয়েছেন কিন্তু এ পর্যন্ত ঘর দেন নাই। চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ যৌথভাবে আত্মসাৎ করেছেন। ২৮/০৪/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান সাহেব ফেসবুক পেজে বললেন যে, কিছু কার্ড পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে কিনা তার জানা নেই।

তার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে যাদের নামে কার্ড ছিল তাহা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন যাদের নামে কার্ড করা হয়েছে তাদের জানানো বা প্রদান করা হয় নাই। এইভাবেই প্রতারনার মাধ্যমে হতদরিদ্রের চাউল চেয়ারম্যান ডিলারদের সাথে যৌথভাবে বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছে।

বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে ৩,০০০/= (তিন হাজার) টাকা নিয়ে ভাতার কার্ড দেওয়া হয়। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের ভাতার কার্ড হয় না। অন্যদিকে মাটি কাটা মহিলাদের কাছ থেকে ২০,০০০/=টাকা নিয়েও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।

গত ২৭/০৪/২০২০ তারিখে হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বঞ্চিত জনগণ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নামের কার্ডের চাউল আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। বিধায় ফেসবুক,পত্র প্রত্রিকা ও আনন্দটিভিতে নিউজ হওয়ায় হাটখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাড়া মহল্লায় টান টান উত্তেজনার সম্ভবনা রয়েছে।

অতএব, জনাবের নিকট আবেদন, গরিব অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর সান্তির কথা বিবেচনা করে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

অবগতি অনুলিপিঃ-
০১। জেলা প্রসাসক,পাবনা।                                                                                                        বিনীত নিবেদক
০২। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সুজানগর,পাবনা।                                                               হাটখালী ইউনিয়ন বাসির পক্ষে

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পাবনা প্রতিনিধি আর কে আকাশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.