ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার: পাবনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) ওয়াসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী অভিযানে জব্দ করা গাঁজা চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ২০১৮ সালের মাদক নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ এর খ ধারা মোতাবেক মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। পাবনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক জিন্নাত সরকার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল পাবনা সদর থানার তিনগাছা রাজাপুর গ্রামের চম্পা খাতুনের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত এসআই ওয়াসিম উদ্দিন ৫ কেজী গাঁজাসহ এক আসামীকে আটক করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানতে পারেন যে, এসআই ওয়াসিম বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করে মাত্র ৫ কেজি গাজাসহ মামলার আসামীকে চালান করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামানসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত এসআই ওয়াসিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পাবনা সদর থানা ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষের ওই এসআই’র নিজস্ব কেবিনেট থেকে কয়েকটি লাল পলি ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় প্রায় ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় এসআই ওয়াসিম অসাধুউপায়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে গাঁজাগুলি নিজ হেফাজতে রেখেছিল বলে স্বীকার করে। এই মাদক বিক্রি চক্রের সাথে ওই থানার অজ্ঞাতনামা আরো সদস্য যুক্ত থাকতে পারে বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ এই ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর আসামীকে গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পাবনা আমলী আদালত-১ এর জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ শামসুল আল আমিন এর আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। তবে তিনি থানা হেফাজতে কিভাবে মাদক দ্রব্য লুকিয়ে রাখা হলো কিংবা এই চক্রের সাথে কারা জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পাবনার অতি: পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে এমন ঘটনা অনাকাংখিত ও অনভিপ্রেত। তবে ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্ত এসআই ওয়াসিমকে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ লাইলে প্রত্যাহার করা হয়। তদন্তে প্রমান পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক নিয়মিত মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। একই সাথে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে পাবনা জেলা ব্যাপী টক অবদ্যা টাউনে পরিনত হয়। পাবনা বিঙ্গ পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.