পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টোয়েন্টিতে সহযোগী দেশগুলোর উন্নতির এক দারুণ বিজ্ঞাপনই হয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর উদ্বোধনী ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় না পেলেও পাপুয়া নিউগিনি কঠিন পরীক্ষা নিল আরেক আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
রবিবার গায়ানা পার্কে নিউগিনির দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে  ইনিংসেট ১৭ তম ওভার পর্যন্ত হারার শঙ্কায়  ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে পরের দুই ওভারের চাপ সামলে ৩১ রান তুলেন রোস্টন চেইজ ও আন্দ্রে রাসেল। ফলে পাঁচ উইকেটের স্বস্তির জয় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আশা জাগিয়েও শেষের স্নায়ু চাপে ভেঙে পড়ে  অঘটন ঘটাতে পারল না পাপুয়া নিউগিনি।
টস জিতে পিএনজিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ক্যারিবিয়ানরা। শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি সহযোগী দেশটির।মাত্র সাত রানে হারায় দুই উইকেট দলটি। রোমারিও শেফার্ডের বলে দুই রান করে আউট হন টনি উরা। আকিল হোসেইনের বলে বোল্ড হয়ে  সাজঘরে ফেরা লেগা সিয়াকার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। এরপর অধিনায়ক আসাদা ভালা (২২ বলে ২১ রান) চাপ সামনে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেস্টা করেছিলেন।
তবে পিএনজি লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার মূল কারিগর সিসি বাউ। আজহারি জোসেফের বলে বোল্ড হতে ফেরার আগে ৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন এই বাঁহাতি। তার ইনিংস সাজানো ছিল ছয় চার ও এক ছয়ে। শেষদিকে কিপলিন ডোরিগা (১৮ বলে ২৭ রান ও চাঁদ সোপারের (৯ বলে ১০ রান) দলের স্কোর টানা নিয়ে যান ১৩৭ রান পর্যন্ত।ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে রাসেল ও জোসেফ নেন দুটি করে উইকেট।
ছোট রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কখনোই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেয়নি নিউগিনি।রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ৮ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন জনসন চার্লস।এরপর পরি নামা বৃষ্টিতে সাময়িক বন্ধ থাকে খেলা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিকোলাস পুরান ও ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং অর্ধশত রানের জুটি করলেও সে ভাবে হাত খুলে খেলতে পারেনি।
দুজনের ৫৩ রানের জুটি গড়েন ৪২ বলে। পরপর দুই ওভারে দুইজন ফিরলে চাপ বাড়ে স্বাগতিকদের উপর প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঝড় বইয়ে দেওয়া পুরান ২৭ বলে করেন ২৭ রান। ব্র্যান্ডন কিং ২৯ বলে করেন ৩৪ রান।১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬৩/৩।শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন  ৭৪ রান।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এরপরও উইন্ডিজকে ম্যাচ নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে দেয়নি নিয়গিই। দেয়নি ১৪তম ওভারে চ্যাড সোপার যখন রোভমান পাওয়েলকে (১৪ বলে ১৫) ফেরানোর পর সমীকরণ দাড়ায় ৩৬ বলে ৫২ রান।
পরের ওভারের  রোস্টন চেইজের ছক্কায় ৩০ বলে দরকার ছিল ৪৩  রান।কিপলিন ডোরিগা ১৬ তম ওভারের মাত্র ৩ রান দিয়ে রাদারফোর্ডের উইকেট তুলে ফের জমিয়ে তুলেন ম্যাচ। ক্রিজে নামেন আন্দ্রে রাসেল।
সেই ওভার শেষেস মীকরণটা দাঁড়ায় ৫ উইকেট হাতে রেখে ২৪ বলে ৪০ রানের। রোস্টন চেজকে নিয়ে আন্দ্রে রাসেল ১ ওভার হাতে রেখেই মিলিয়ে ফেলেন সমীকরণটা। চেজ ২৭ বলে ৪২ ও রাসেল ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.