পানির নিচে সেতু, দূর্ভোগে ৪ হাজার মানুষ 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: পানির নিচে ডুবে আছে সেতু। যানবাহন তো দূরের কথা মানুষও ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউপি’র আমিনগঞ্জ সতীরপাড়ের সেতুটি ২০১৭ সালে ধসে পড়ে। এরপর থেকেই ৩০ লাখ টাকার সেতুটির ওপর দিয়ে বয়ে যেতে শুরু করে নদীর জলের স্রোত। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও  সেতুটি নির্মাণ, মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন আশপাশের পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
এই সেতুটি তুসভান্ডার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে স্থানীয় লোকদের দুই কিলোমিটার সড়ক ঘুরে বাজারসহ স্কুল ও মসজিদে যাওয়া আসা করতে হয়।
স্থানীয় একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজি কাজিমুদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় হঠাৎ দেবে যায়। সেতুটি ঠিক করতে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতুটির দুই পাশে দুইটি মাদরাসা, মসজিদ, বাজার এবং স্কুল কলেজ রয়েছে। ফলে ওইসব জায়গায় যেতে খুব কষ্ট করতে হয় আমাদের।’
ব্যবসায়ী রায়হান কবির বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে বাঁশ কালেকসন করে সাঁকো তৈরি করি। এ বছর করা হয়নি। মানুষ আর কতো দিবে। দ্রুত সেতুটি ঠিক করা প্রয়োজন।’
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাকিবুল হাসান পলাশ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘এই সেতু ব্যবহার করে প্রতিদিন ৪ হাজার লোক যাতায়াত করে। এই সড়ক দিয়ে কাকিনা, আমিনগঞ্জের মানুষ যাতায়াত করে। এসব মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে স্থানীয় জনগণের দাবি, তিনি যেন ব্রিজটি নির্মাণে উদ্যোগ নেন।’
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আম্মদ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছ থেকে ডিও নিয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করবো।‘
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রলায়ে পাঠানো হয়েছে। সেতুটি মেরামতের বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে সাঁকো তৈরির কাজ শুরু হবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.