পানির নিচে শত্রু খতম করতে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৌযান

(পানির নিচে শত্রু খতম করতে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৌযান–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সমুদ্রে শত্রুদের হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট তৈরি করেছে চীন। যা পানির নিচ নিয়ে শত্রুদের নৌযানে হামলা করতে পারবে মানুষের কোনও নির্দেশনা ছাড়াই। গত সপ্তাহে হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে কয়েকটি গোপন গবেষণা প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হলে এই বিষয়টি জানা গেছে।
এসব প্রতিবেদন অনুসারে, চীন প্রায় এক দশক আগে ডুবো নৌযান আবিষ্কার করেছে যেসগুলোতে কোনও মানুষ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে সফলভাবে এগুলো ডামি সাবমেরিনে টর্পেডো দিয়ে আঘাত করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট দিয়ে।
তাইওয়ান প্রণালীতে ২০১০ সালে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এখানে ভূপৃষ্ট থেকে ৩০ ফুট গভীরে চালকবিহীন ডুবোযানটি নির্দিষ্ট পথ ধরে এগিয়ে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটি সাবমেরিনের অবস্থান শনাক্ত, গতি পরিবর্তন, টার্গেটকে ঘিরে বৃত্তাকারে চলাচল এবং সবশেষে নিরস্ত্র টর্পেডো ডামিতে ছুড়েছে।
ইউইউভি হিসেবে পরিচিত এই নৌযানে সোনার ও সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে তথ্য সংগ্রহের জন্য। যা পর্যালোচনা করে কম্পিউটার। নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনে এসব সহযোগিতা করে।
২০১০ সালে এই পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক লিয়ং গৌলং লিখেছেন, আগামীতে পানির নিচে যুদ্ধের সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা মানববিহীন যান উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো্ লিখেছেন, ইউইউভিগুলো একটি দল হিসেবে পরিচালনার প্রোগ্রামিং করা যায় এবং একই সঙ্গে একটি টার্গেটে আঘাত হানতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউইউভি এরই মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ কোম্পানী ও নৌবাহিনী ব্যবহার করছে। তবে এখনও যুদ্ধে তা ব্যবহার করা হয়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.