পানির দাম আবার বাড়ছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে

  • এ বছর দাম আরও বাড়বে
  • বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১১.০২ টাকা।
  • জুলাই থেকে আবার দাম বাড়ছে।
  • এখন প্রতি ইউনিটের দাম সাড়ে ১০ টাকা।

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: গ্রাহকদের বিশুদ্ধ পানি দিতে না পারলেও রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জে পানির দাম আবার বাড়াচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। মোট দামের ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ জুলাই থেকে। বছরে একবার দাম বাড়ানোর নিয়ম থাকলেও দুই দফায় পানির দাম বাড়ানো হয় গত বছরের নভেম্বরে ও জুলাইয়ে । জুলাইয়ের পর এ বছর আরও এক দফা দাম বাড়ানো হবে।

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালে প্রতি ইউনিট পানির দাম ছিল পৌনে ছয় টাকা। এর মধ্যে ২০১৬ সালের নভেম্বরে একবারেই ১৭ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। প্রতিবছর একাধিকবার এবং মাঝেমধ্যে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমোদনে বাড়ার ফলে পানির দাম দ্বিগুণের বেশি দাঁড়িয়েছে। এখন সাড়ে ১০ টাকা পানির দাম আবাসিক প্রতি ইউনিটে (এক হাজার লিটার) । দাম বাড়ানোর পর  হবে ১১ টাকা ২ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট ৩৩ টাকা ৬০ পয়সার স্থলে দিতে হবে ৩৫ টাকা ২৮ পয়সা।

বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পানির দাম আবার বাড়বে জেনে। অনেক এলাকায় ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানি আসছে। পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার ও আশপাশের এলাকা, বৃহত্তর মিরপুর, মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা, বাসাবো, কদমতলা, আহম্মদবাগ, মাদারটেক, মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর, গোপীবাগ, অভয় দাস লেন, কে এম দাস লেন প্রভৃতি এলাকায় পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।

পানির দাম বাড়াতে হলে পানির মান ভালো করার কথা বলেছেন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ১২ নম্বর সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ওয়াসার পানির গন্ধের জন্য গোসল পর্যন্ত ঠিকভাবে করা যায় না। অথচ সেই পানিরই দাম বাড়াতে ওয়াসা কখনো ভুল করে না। বাসাবোর বাসিন্দা অনামিকা মাহবুব বলেন, প্রতি মাসে ওয়াসার পানির বিল দিতে হয় হাজার টাকার ওপর। এবার আরও বেশি দিতে হবে। কিন্তু রান্না ও খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে প্রতি মাসেই বাড়তি টাকা গুনতে হয়।

ঢাকা ওয়াসায় যোগাযোগ করা হলে প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার রায় বলেন, বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে জুলাই থেকে পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে । ওয়াসা আইন ১৯৯৬-এর ২২ ধারা অনুযায়ী ওয়াসা বোর্ড প্রতিবছর পানির দাম বাড়াতে পারে ৫ শতাংশ হারে । বেড়েছে পানির উৎপাদন খরচ ও পরিচালনা ব্যয় । তিনি জানান, এখন ১ হাজার লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ১৭ টাকা। এ কারণে পানির দাম বাড়তে হচ্ছে। উৎপাদন ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে এ বছরই পানির দাম আরও একাধিক দফা বাড়াতে হবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে পানির মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। এসব ক্ষেত্রে চোর ধরতে পারলে ঘন ঘন পানির দাম বাড়াতে হবে না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.