পাটগ্রামে পালিত মেয়েকে ধর্ষণ,বাবা গ্রেফতার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় পালিত মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে ইয়াকুব আলী (৪৫) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। গ্রেফতার ইয়াকুব আলী উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুখলীবাড়ী গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দুই মেয়েসহ বিধবা মিনু বেগমকে বিয়ে করেন ওই ইয়াকুব আলী। বিয়ের পর দু্ই মেয়ের মধ্যে এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। ছোট মেয়ে বিথি আক্তার (১৬) ও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন ইয়াকুব আলী।

গত ২০ এপ্রিল ২০১৮ সালের রাতে তুচ্ছ ঘটনা জেরে স্ত্রী মিনু বেগমকে মারধর করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লম্পট বাবা ইয়াকুব আলী পাশের রুমে মেয়ে বিথিকে ধর্ষণ করে। পরে মিনু বেগমের জ্ঞান ফিরলে মেয়ের কান্না শুনে কারণ জানতে চায়লে কোনো সদুত্তর না দিয়ে কীটনাশক পান করে বিথি।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিথির মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

মর্গের চিকিৎসকরা মেয়ের আত্মহত্যার পেছনে ধর্ষণের আলামত পেয়ে সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠান। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিআইডি পাটগ্রাম থানাকে শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০১৯) চিঠি পাঠিয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে মামলা নিতে বলেন।

এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মৃত বিথি আক্তারের বাবা ইয়াকুব আলী ও মা মিনু বেগমকে গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) থানায় ডেকে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এতে বিথির মা মিনু বেগম মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে স্বামী ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সন্ধ্যায় ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার করেন।

পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিটিসি নিউজকে বলেন, মর্গের রিপোর্ট ও মৃত মেয়ের মায়ের অভিযোগে তার পালক বাবা ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট  প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.