পাটগ্রামে ধানে চিটা ; কৃষক সর্বশান্ত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের চাষি দীপক চন্দ্র রায় (৩৭)। পাটগ্রাম কৃষি বিভাগে ব্রি ধান ৮৪ জাতের বীজ নিয়ে পোনে-৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেন। একই গ্রামের কৃষক সফিয়ার রহমান (৪৫) ৫৪ শতাংশ জমিতে লাগিয়েছেন একই জাতের ধান। ওই দুই চাষির সমস্ত জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। জমির ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় ওই দুই চাষি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।
ব্রি-৮৪ জাতের ধান একেবারে নতুন। নতুন জাতের ধান স্থানীয় মাটি কার্যকর কিনা তা পরীক্ষামূলক চাষ করে কৃষক পর্যায়ে রোপনের জন্য বিতরণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কৃষি বিভাগ তা না করে সরাসরি চাষি পর্যায়ে বিতরণ করেছেন। ৮৪ জাতের ধানটি এখানকার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী ছিলনা। এছাড়া বালাই নাশক ঔষধও ঠিকভাবে প্রয়োগ না করায় চাষিদের ধানে চিটা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী চাষী দীপক চন্দ্র রায় বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পাটগ্রাম কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ৩৩ শতাংশ জমিতে ধান চাষের জন্য ব্রি-৮৪ জাতের ধান বীজ পাই। কিন্তু ওই বীজ দিয়ে পোনে -৫ বিঘা জমিতে ওই জাতের ধান লাগানো গেছে। কিন্ত ফলানো সমস্ত ধান চিটা হয়ে গেছে। তবে পাশের জমির অন্য জাতের ধানে ভাল ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে ধানে চিটা হয়ে আমার সর্বনাশ হয়েছে। অপর চাষিরও একই অভিযোগ।
তবে চাষিদের অভিযোগ অস্বীকার করে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কোন গাফিলতি ছিলনা। ওই ধানের জাতটি ছিল একেবারে নতুন। বৈরি আবহাওয়া ও চাষিদের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার কারণে ধানের চিটা হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরন পুসিয়ে দিতে প্রনোদনায় আওতায় নিয়ে আসার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.