পাকিস্তানে বসেছে এমপি কেনাবেচার হাট

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজনীতি বরাবরই নাটকীয়তায় ঠাসা। নির্বাচন শেষ হওয়ার তিন দিন পার হলেও এখনো সব আসনের ফল ঘোষণা শেষ হয়নি। এ ছাড়া একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বাধ্যতামূলক জোট সরকার গঠন করতে হবে পাকিস্তানে। বিশেষ করে নাওয়াজ শরিফের সঙ্গ থেকে বিলওয়াল ভুট্টো কিছুটা দূরে থাকায় এই সরকার গঠনের সমীকরণ আরও জটিল হয়েছে। তাই ব্যাপক দরকষাকষি চলছে বিজয়ী ছোট ছোট দল এবং এমপিদের নিয়ে।
এরই মধ্যে বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপি-নওয়াজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে আপত্তি জানানোয় ছোট দলগুলোর দিকে ঝুঁকেছে পিএমএল-এন। সমঝোতার জন্য ১৭ আসন পাওয়া মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানকে লাহোরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। ধারণা করা হচ্ছে, বিলওয়ালকে পাশ কাটিয়ে ছোট অন্য দলের সমর্থন আদায় করে পিটিআইকে আটকে দেবে। একই সাথে পিপিপিকে বাধ্য করবে তার দলে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করায়। তবে ছোট দলের সাথে কোনো দফারফা হয়েছি কিনা তা নিয়ে সবশেষ তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে, খবর ছড়ায়, জোট সরকার গঠন নিয়ে ৪৫ মিনিটের গোপন বৈঠক করেছেন নওয়াজ শরিফ ও বিলওয়াল ভুট্টো। সেখান হাজির ছিলেন দুই দলের শীর্ষ নেতারাও। তবে, এর কয়েক ঘণ্টা পর রীতিমত বিবৃতি দিয়ে বিলওয়াল ভুট্টো জানান, তিনি এখন পর্যন্ত কোনো দলের সাথে আলোচনা বা সমঝোতা করেননি।
পিটিআইয়ের দলীয় কোনো ব্যানার না থাকলেও তাদের প্রার্থীরা দ্রুতই দল গঠন করবে বলে জানানো হয়েছে। কারণ পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হলে তাকে ফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দলে যোগ দিতে হবে। কিন্তু এখনো এ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, দলছুট এসব বিজয়ী প্রার্থীদের কাছে টানতে নানা প্রলোভন দেখানো হচ্ছে প্রধান দলগুলো থেকে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ ও মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি জানিয়েছেন, পিটিআই খুব দ্রুতই দলীয় ব্যানারের নাম ঘোষণা করবে। তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোথাও যাওয়ার ভয় নেই। কেননা এসব প্রার্থী গত ১৮ মাস ধরে সংগ্রাম করে আসছে। তারা সব ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে এসেছে। তারা ইমরান খানের ডেরাতেই থাকবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.