বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। শতদ্রু, রাভি ও চেনাব নদীর পানি ফুলেফেঁপে উঠায় এই বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে অবকাঠামো, ডুবে গেছে লাখ লাখ একর কৃষিজমি, আর হাজারো মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ভারী বর্ষণের পাশাপাশি ভারত থেকে দুটি বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় নদীগুলো উপচে পড়েছে। এতে পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলীয় জেলাগুলো প্লাবিত হয় এবং এখন বন্যার পানি দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি করেছে।
পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, নারওয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোদা, লাহোর, কাসুর, ওকারা, গুজরানওয়ালা ও ফয়সালাবাদে ত্রাণ কার্যক্রম ও বন্যা মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
গুজরানওয়ালার কমিশনার জানান, নিহত ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন শিয়ালকোটে, চারজন গুজরাটে, তিনজন নারওয়ালে, দুইজন হাফিজাবাদে এবং একজন গুজরানওয়ালায় মারা গেছেন।
জুনে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০২ জনে। এর অর্ধেকের মৃত্যু হয়েছে শুধু আগস্ট মাসেই।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ এবং অন্তত ৩৫ হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কেন্দ্র ও পশু চিকিৎসা শিবির খোলা হয়েছে।
পাঞ্জাব সরকারের হিসাবে, এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ জানাচ্ছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.