পাকশী রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আলোচিত (ডিসিও) নাসিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি সহ চেক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ

ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার: পাবনার ঈশ্বরদী পাকশী রেলওয়ে সদরদপ্তরের বানিজ্যিক কর্মকর্তা আলোচিত নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ৭৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে
অভিযোগ থেকে জানা যায় ,পাকশী রেলওয়ে সদরদপ্তরের বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ পরিবার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে চাকরি দেয়া হয়েছে প্রায় ডজন খানেক যুবককে।
এছাড়াও ডিসিও নাসির উদ্দিন তার গ্রামের বাড়ি হলুদিয়া (কৈইয়া পাড়া) ৩৭ শতাংশ জায়গায় উপরে প্রাসাদ বাড়ী নির্মাণ করেছেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে।
চাকুরিপ্রাপ্তরা হলেন:
(০১) মোঃ সোলাইমান কবির (অস্থায়ী গেট কিপার) পিতা মোঃ রুহুল আমিন (নাসিরের বড় ভাইয়ের ছেলে গ্রাম হলুদিয়া মধুপুর টাঙ্গাইল।
(০২) মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (গেট কিপার ) পিতা সাহেব আলী (নাসিরের চাচার ছেলে), গ্রাম হলুদিয়া,মধুপুর, টাঙ্গাইল।
(০৩) মোঃ শহীদুল ইসলাম (অস্থায়ী গেট কিপার), পিতা হামিদ (নাসিরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে) গ্রাম হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।
(০৪) মোঃ রাসেল (অস্থায়ী গেট কিপার পিতা আমীর আলী (নাসিরের আপন বোনের ছেলে) গ্রাম বোকারবাঈদ, মধুপুর, টাঙ্গাইল।
(০৫) মোঃ সাইফুল ইসলাম টুটুল (অস্থায়ী গেট কিপার) পিতা অঙ্গাত (নাসিরের আপন বোনের ননদের ছেলে) গ্রাম- ছাতারকান্দি, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
(০৬) মোঃ রানা পারভেজ (অস্থায়ী গেট কিপার) পিতা শামছুউদ্দীন (নাসিরের আপন শ্যালক) গ্রাম শাজনপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল প্রমুখ। সঠিক ও পুর্নাঙ্গ তদন্ত হলে এই তালিকা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালত টাঙ্গাইলে সিআর মামলা নং-১৩১২ /২০১৯ থেকে জানা যায়, ৭৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা বিচারাধীন মামলা রয়েছে ডিসিও নাসিরের বিরুদ্ধে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোঃ নাসির উদ্দিন বি বি এ (অনার্স) ২য় বর্ষের ছাত্র থাকা কালে ১১/০৮/২০১৮ ইং তারিখে রেজিঃ কাবিন মুলে বিবাহ হয়। দাম্পত্য শর্ত পালন করা কালে সুচতুর নাসির উদ্দিন নাসরিন সুলতানার উপর মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে নাসরিন সুলতানার পিতা আঃ গনি কন্যার সুখের আশায় সুচতুর নাসির উদ্দিনকে লেখা পড়ার খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকাও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ। এই মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা, পিতা মৃত আঃ গনি, গ্রাম জাহিদ মন্জিল, ধনবাড়ী, জেলা টাঙ্গাইল।
বহু বিতর্কিত পাকশী বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা বিচারাধীন মামলা রয়েছে টাঙ্গাইলের উপজেলা মধুপুর সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে। যার মোকদ্দমা নং ৪৬ (পারিবারিক)। তবে এই দুটি বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ছুটি নিয়ে ছিলেন কিনা সেটা জানা যায়নি।
তাছাড়া এই বিতর্কিত বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) পাকশীতে এসিও থাকা কালীন সময়ে অফিসের কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ করায় কর্মচারীদের হাতে পিটুনী খেয়ে এখান থেকে বদলী হয়ে চট্রগ্রামে চলে যান বলে সুত্রমতে জানা যায়।
২০১৯ সালে চট্রগ্রামে বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) থাকাকালে “গেইটম্যান” চাকরিতে যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই পদোন্নতি হয় ৭ জনের। অনিয়মের কারণেই এই বিতর্কিত বর্তমান (ডিসিও) নাসির উদ্দিন ষ্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে বদলী হন লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পে।
এদিকে পাকশী বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের পারিবারিক অবস্থা যতটুকু জানা যায় তা হল: তার বাবা মোঃ নওয়াব আলী একজন হতদরিদ্র কৃষক তার ৫ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে নাসির উদ্দিন, তার সংক্ষিপ্ত চাকরি জীবনে এলাকাবাসীর মতে এতো অর্থ সম্পদের উৎস সম্পর্কে সবার মনে এখন সেই প্রশ্ন!
এব্যাপারে পাকশি বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের সাথে তার দপ্তরে দুই গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও আজ তার দপ্তরে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রায় এক ঘন্টা বাহিরে বসিয়ে রেখে কথা না বলে দ্রুত সটকে পড়েন।
অপরদিকে এসব বিষয়ে পাকশি বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শাহীদুল ইসলারে সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘নাসির উদ্দিন টাঙ্গাইল আদালতে মামলা হাজিরা দিতে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে যায় কিনা’ তার উত্তরে তিনি বলেন, কোন স্থানে মুভ করতে সে আমার কাছে ছুটি মাঝে মাঝেই নেয়।
উল্লেখ্য, তার ক্ষমতার এতোটাই দাপট যে গত ৫ মে গভীর রাতে টিটিই শফিকুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এবং পরবর্তীতে সেই টিটিই’র বরখাস্ত প্রত্যাহারও করেন।
বরখাস্ত হওয়া এই ডিসিও-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার আজ বুধবার (১৮ মে) শেষ দিন। কারণ দর্শানো চিঠির জবাব দিয়েছেন কিনা এবিষয়ে ডিআরএম-পাকশি শাহীদুল ইসলাম বলেন, বিকেলে নোটিশের জবাব দেয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.