পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রতারনার ফাঁদ পেতে পদোন্নতি অতঃপর হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারী রাজস্ব

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নিজের স্থানীয় ঠিকানা লুকিয়ে রেখে জালজালিয়াতির মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এখন উচচতর বেতন স্কেলে চাকরি করে সরকারী রাজস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। রেলওয়ে অডিট অধিদপ্তর সেগুন বাগিচা,অডিট টিমের আপক্তির প্রতিবেদন ও পাকশি অফিস সুত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

পাকশী রেলওয়ে অফিস ও বাংলাদেশ রেলওয়ে তার সার্ভিস বুক সুত্রে  জানা গেছে, মোঃ আব্দুল আলীম খাঁন ০৭/০২/২০০৫ ইং সালে কুলাউড়া ডিস্পেনসারীতে ওয়ার্ড এটেনডেন্ট হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। সেখানে তার ঠিকানা ব্যাবহার করা হয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার ইকরাশী গ্রামের বাসিন্দা। অথচ তার স্হায়ী ঠিকানা কুষ্টিয়া জেলার কুমার খালি থানার কয়া ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল গফুর খাঁন।
আব্দুল আলীম খাঁন অষ্টম শ্রেণীর যে সার্টিফিকেট ব্যাবহার করেছেন তাতে নিজ জন্মভূমির তথা স্থানীয় বাসিন্দার ঠিকানা গোপন রেখেছেন। তিনি যে মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সার্টিফিকেট ব্যাবহার করেছেন সেই মাদ্রাসা থেকে তার স্থানীয় ঠিকানা মাত্র কয়েক কিলো।
অপরদিকে কুলাউড়া কর্মস্হল থেকে বদলী হয়ে রেলওয়ে সদর দপ্তর পাকশী রেলওয়ে হাসপাতালে যোগদান করেন আব্দুল আলীম খান।
গত ০৭/০৩/২০১০ ইং সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে মেডিক্যাল বিভাগের এক নিয়োগ বিধি প্রনয়ন প্রসঙ্গে ডাক্তার মোঃ হাবিবুল্লাহ স্বাখরিত এক প্রস্তাবনার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা এবং এস এস সি পাশ থাকতে হবে। সেই নিয়ম অমান্য করে এই সুচতুর আব্দুল আলীম বিধিবহির্ভূত ভাবে কোন প্রকার এস এস সি পাশের শিক্ষাগত সনদ জমা না দিয়েই এই ওয়ার্ড এটেনডেন্ট সেনেটারী পরিদর্শক পদে গত ১১/১০/২০১০ ইং তারিখে নিয়ম বহির্ভূত পদোন্নতি লাভ করে।
পদোন্নতি পেয়ে তরিগরি করে রাজবাড়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী সার্জন এর কার্যালয়ে সেনেটারী পরিদর্শক পদে ১৯/১০/ ২০১০  ইং তারিখে যোগদান করেন। তার এই যোগদানের পরপরই গত ০২/০২/২০১১ ইং সালে রেলওয়ে ” অডিট অধিদপ্তর সেগুন বাগিচা ঢাকা”থেকে একটি তদন্ত টিম আসে।
সেই টিমের প্রধান ছিলেন মোঃ ইকবাল হোসেন। তদন্তের আপক্তি শিরোনাম ছিল বিধিবহির্ভূত ভাবে পদোন্নতির মাধ্যমে উচচতর স্কেল প্রদান প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী কার্যালয়ে সার্ভিস বই নিরীক্ষায় দেখায় দেখা যায় যে বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা পাকশী কায্যালয়ে মোঃ আব্দুল আলীম খান মেডিক্যাল ওয়ার্ড এটেনডেন্ট হিসেবে গত ০৭/০২/২০০৫ ইং সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
এদিকে গত ১১/১০/২০১০ ইং সালে তাকে সেনেটারী পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে অষ্টম শ্রেণীর পাশের ওয়ার্ড এটেনডেন্ট থেকে তাকে সেনেটারী পরিদর্শক পদে পদোন্নতি দেয়ার কোন বিধান নাই। যাহা সম্পুর্ন অনিয়ম অডিট টিমের মতে সরকারের আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সার্ভিস বহিতে লিখেছেন।
এদিকে এই সুচতুর আব্দুল আলীমের এহেনো প্রতারনায় রেলওয়ে অভিঙ্গমহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষের যেন কোন মাথাব্যথাই নাই। অবিলম্বে এই প্রতারকের বিষয়টি সুষ্টতদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হার দাবী তুলেছে সচেতন মহল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.