পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে না : মমতা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর না করার কথা জানিয়েছেন। সিপিএম ও কংগ্রেসও এ বিষয়ে মমতার সঙ্গ দিচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২ নভেম্বর) চেন্নাই যাওয়ার সময় মমতা জানান, গুজরাটে বিধানসভার ভোট আসছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে সিএএ কার্যকর করার চেষ্টা করছে। তারা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। তারা সবাই এই দেশের নাগরিক। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ নিয়ে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তারা বাংলায় সিএএ কার্যকর হতে দেবেনা।
সুজন চক্রবর্তী
সুজন চক্রবর্তী
এদিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতার সঙ্গ দিচ্ছে রাজ্যের সিপিএম নেতারাও। সিপিএম সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতি বাংলায় চলবেনা। বাংলার মানুষ তা হতেও দেবেনা।
এদিকে ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, ভোট এলেই বিজেপি সিএএ ও ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন (এনআরসি) সামনে এনে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপির এই রাজনীতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জারি আছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি বাস্তবায়নের পক্ষেই কথা বলছেন। তিনি জানান যাদের ভোটের জোরে যিনি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলেন তাদের নাগরিকত্ব দেবেন না, এটা অনৈতিক ও অমানবিক। তারা তা মানবেন না। এই রাজ্যে যথাসময়ে সিএএ কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
ইতোমধ্যে ভারতের গুজরাট রাজ্যের দুইটি জেলায় সিএএ কার্যকর করা হয়েছে। ১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তা কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সালে ১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) করে।
সেই আইন ভারতীয় সংসদে পাশ হলেও ২০১৯ সালের সংশোধিত আইনের বিধি তৈরি না হওয়ায় সেই আইন এখনও কার্যকর হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ঘোষণা দিয়েছে এবার সেই সিএএ আইন কার্যকর করার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার
কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার
আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন কার্যকর করা হবে গোটা দেশজুড়ে। ১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, ভারতে এসে কমপক্ষে ১১ বছর বসবাস করার পর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হওয়া হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ।
সেই লক্ষ্য নিয়ে ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করা হলেও এতে সায় দেয়নি তৃণমূল, কংগ্রেস, বামদলসহ বহু রাজনৈতিক দল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.