গাইবান্ধা প্রতিনিধি: চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা পুরো নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নানা কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া মাইকেও চলছে ব্যাপক প্রচারণা। সব মিলিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বরিশাল ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামিম মিয়া দলীয় নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন সহ সভাপতি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিক আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাউজ ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক এবং পাড়ায় পাড়ায় জনসভাসহ নানাবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারনা।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে জেলা উপজেলার দলীয় নেতা-কর্মীরাও প্রচার প্রচারণায় সমান ভাবে অংশ গ্রহন করছেন। দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠন গুলো সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে দিন রাত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমান সরকারের বিগত দিনে এলাকায় উন্নয়নের কারনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ের ব্যাপরে শত ভাগ আশাবাদী।
অপর দিকে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোটারদের ইচ্ছায় ও দাবীর প্রেক্ষিতে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। তিনি বলেন এ ইউনিয়নের ভোটাররা আমাকে অত্যান্ত ভালবাসে তাই ২৬ তারিখ আনারস প্রতীকে বিপুল পরিমান ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।
ওই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচার- প্রচারনায় যে যাই বলুক, ৪নং বরিশাল ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামিম মিয়া ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিক (আনারস) সাথেই হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পাশাপাশি জামায়াতি ইসলামের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম মিয়া মোটরসাইকেল প্রতীকও পিছিয়ে নেই এমনটাও বলেছেন কেউ কেউ। দেখার যাক শেষ হাসিটা কে হাসে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.