পলাশবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক: “সিএইচসিপিরা কখন ক্লিনিকে আসেন আর কখন বন্ধ করেন তা কেউ জানে না” 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দেশের প্রান্তিক মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বতর্মান সরকার উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ‍্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুস্টি, স্বাস্থ‍্য শিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা কথা রয়েছে। অথচ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৩৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম যেনতেনভাবে চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়,প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরতদের সকাল ৯ টার মধ্যে ক্লিনিকে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বিকেল ৩ টা পযর্ন্ত ক্লিনিকে অবস্থান করতে হবে।
কিন্তু উপজেলার তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের দায়িত্বরতরা এসব নিয়মের তোয়াক্কাই করছে না। কে কখন ক্লিনিকে আসছেন আর যাচ্ছেন তা কেউ জানে না।
আজ সোমবার (০৮ নভেম্বর) উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, ঝালিঙী কমিউনিটি ক্লিনিক ও বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকের পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখাযায় ১ টার আগেই ক্লিনিক বন্ধ করে সিএইচসিপিরা চলে গেছেন।
এব‍্যাপারে ডাকের পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সিএইচসিপি মাছুমা বেগমকে বাড়ীতে পাওয়া যায় সোয়া একটার সময়। ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এই মাত্র আসলাম। বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করেন, এখন কয়টা বাজে। প্রতিউত্তরে সিএইচসিপি মাছুমা বলেন, একটা বাজে।
এখানে চিকিৎসা নিতে আসা, এক বৃদ্ধ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এরা কখন ক্লিনিকে আসেন আর কখন বন্ধ করেন তা কেউ জানে না। আমি এক ঘন্টা থেকে ঔষধ নেওয়ার জন‍্য বসে আছি।
ঝালিঙী কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে এক ব‍্যক্তি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রোববার ক্লিনিক খুলেনি। গত বৃহস্পতিবারও ক্লিনিক খোঁলা ছিল না। আজ সোমবারও সিএইচসিপি লিখন নেই।
ক্লিনিকগুলো তদারকির দায়িত্বে থাকা হেলথ ইন্সেপেক্টর ফিরোজ কবির বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, লোকবল সংকট আমি একা একা এতগুলো ক্লিনিক কিভাবে দেখি। তবুও আগামীকাল থেকে ক্লিনিকগুলো তদারকি করা হবে।
এদিকে মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবান পুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা  সিএইচতসিপি দুপুর সাড়ে ১২ টায় ক্লিনিক বন্ধ করে চলে গেছে। এব‍্যাপারে ভগবানপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আনিছুর রহমানকে মোবাইলে জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এটা তাদের দায়িত্ব অবহেলার বহিপ্রকাশ। জনগণের স্বাস্থ‍্যসেবা নিয়ে তারা অবহেলা করতে পারে না। আমি এইসব বিষয়গুলো অতিগুরুত্বসহকারে দেখব। আপনাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি বেশ কয়েকটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছি। তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.