পলাশবাড়ীর ছেলে মোহাইমিনুল এর পররাষ্ট্র ক‍্যাডারে প্রথম হওয়ার গল্প

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম ময় এর ৪০ তম প্রথম বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক‍্যাডারে প্রথম হওয়ার গল্প।
পররাষ্ট্র ক‍্যাডারে প্রথম মোহাইমিনুল ইসলাম এর পড়াশোনা শুরু হয় পলাশবাড়ী উপজেলায়। প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাশ ফাইভ পযর্ন্ত পলাশবাড়ীতে। তারপর পরিবারের কারণে ঢাকায় গিয়ে ২০১০ সালে শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ‍্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১২ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ করে ২০১২-২০১৩ সেশনে বুয়েটে ভর্তি হয়ে পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগ থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন করে। বাবা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আর মা আলপনা বেগম গৃহিনী। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরে শৈশব কাটলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়।
২০১২-১৩ সেশনে বুয়েটে পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। শুরু থেকেই মোহাইমিনুলের চিন্তা ছিলো পাশ করে দেশে থেকে কোন চাকরি করবেন। পাশাপাশি বিসিএস-এর প্রস্তুতি নেবেন। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি।
স্নাতক শেষে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন মোহাইমিনুল ইসলাম। পুরোদমে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করার আগে বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন নিয়ে কয়েক দিন ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন। এভাবে প্রশ্নের ধরন সর্ম্পকে তাঁর একটা ধারণা হয়েছে। এরপর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি।
শুরু থেকেই পররাষ্ট্র ক্যাডার তার কাছে আর্কষণীয় মনে হয়েছে। বিসিএসের প্রথম দুই স্তরে পাস করে তার মনে হলো, ভাইভার প্রস্তুতি ভালোভাবে না নিলে পছন্দের ক্যাডার ফসকে যেতে পারে। তাই ভাইভার জন্যও সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরপর প্রথম বিসিএসেই ৪০ তম (পররাষ্ট্র) ক‍্যাডারে প্রথম হয়েছেন মোহাইমিনুল ইসলাম ময়।
এব‍্যাপারে গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে মোহাইমিনুল ইসলাম প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হওয়ার অনূভুতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ প্রথম হবো এটি একদমই আশা করিনি। তবে রিটেন ও ভাইবা দেওয়ার পর আশা ছিল ভালো রেজাল্ট করব। প্রথম যে হবো তখন এটি চিন্তাই করিনি। শুধু মনে মনে ভেবেছি, হয়ত ভালো কিছু হবে। প্রথম হওয়ার অনূভুতি সত‍্যিই অসাধারণ।
তিনি আরো বলেন, আমার শৈশব কেটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরশহরে। প্রতিবেশী,বন্ধু-বান্ধব ও খেলাধুলা নিয়ে ব‍্যস্তসময় কাটতো। তেমন চ‍াকচিক‍্যময় জীবন ছিল না। সাধারণভাবে জীবন কেটেছে। তবে ছোট বেলায় বই পড়ার একটা ঝোঁক ছিল। তিন গয়েন্দার বই অনেক বেশি পড়তাম। সেটার অনেক প্রভাব আছে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও। আমি পলাশবাড়ীতে ক্লাশ ফাইভ পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছি। তারপর পারিবারিক কারণে ঢাকায় চলে আসি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.