পলাশবাড়ীতে ১ হাজার টাকায় প্রতিবন্ধীদের ভাড়া নিয়ে পরিদর্শনে দেখালেন বেশ কিছু প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ নীতিমালা ২০১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিদ্যালয় সমূহের পাঠদান স্বীকৃতি এমপিওভূক্ত অনলাইনে আবেদনের নির্দেশ প্রদান করায় পলাশবাড়ীতে সকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলি হঠাৎ ঘুরে বসেছে।

উক্ত নীতিমালার ভিত্তিতে ১ জানুয়ারী দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনোনীত কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, কাস রুম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ভিডিও ফুটেজ গ্রহণ করে অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এলাকার প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা ও ১টি কম্বল দেওয়ার কথা বলে ভাড়ায় নিয়ে বিদ্যালয়ে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে।

এলাকাবাসী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়, বিদ্যালয় গুলি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তরিঘরি করে বিদ্যালয় চালু দেখানো হচ্ছে কেন তাদের প্রশ্ন। এব্যাপারে ১২টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্রামগাছী ডা. কছির উদ্দিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাছেনা আক্তারকে জিজ্ঞাসা করিলে ঐ বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-কর্মচারী তা নিজেই বলতে পারেন না।

উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালক পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক শাহানা রাবেয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমার এলাকা থেকে অনেক প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়ের অভিভাবকদেরকে ১ হাজার করে টাকা দিয়ে ভাড়া করে নিয়ে গেছেন।

বিদ্যালয়টি চালু হওয়ার পর দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল। ঢোলভাঙ্গা অটিজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর প্রধান শিক্ষক তানসিল খানকে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান মাঝে মধ্যে বন্ধ ছিল মাঝে মধ্যে খোলা ছিল।

পবনাপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট খায়রুল আলম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম শাহজাহান আলীকে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে বন্ধ থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন, এ বিদ্যালয় বন্ধ ছিলনা।

অথচ দেখা যায় শ্রেণি কক্ষে কোন চেয়ার, ব্রেঞ্চ কিছুই পাওয়া যায় নাই। পবনাপুর আলহাজ্ব ফজলুল হক অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান সরকারকে ইতিপূর্বে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকার কথা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি জানান, বিল বেতন না থাকার কারণে মাঝে মধ্যে বন্ধ ও মাঝে মধ্যে চালু রাখা হয়।

বরিশাল ইউনিয়নের সাবদিন নতুন বাজার অটিজম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে গিয়েও বিদ্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষিকা বানেসা বেগমকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি জানান, ৬/৭ দিন আগে একটি ভিডিও ধারণ করে নিয়ে গেছে সেটা দিয়েই চলবে।

মনোহরপুর মোখলেছার রহমান শারীরিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের অফিস রুমে কয়েকজন শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী দেখা যায়। তবে ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে, তিনি জানান আমরা কোন চিঠি পাই নাই।

তাই এব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা। এব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসেনকে মোবাইল ফোনে জানালে, তিনি জানান যেসকল বিদ্যালয় আমাদের কাছে আবেদন করেছেন সেখানে আমার মনোনীত প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যালয় গুলির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান সরেজমিনে আপনারা যা পাবেন তাই লিখবেন। এব্যাপারে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.