পলাশবাড়ীতে স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ির বাড়াইপাড়া গ্রামে প্রয়াত আবুল মিয়া সরকারের মেয়ে আমেনা বেগম স্ত্রীর অধিকার ও তার একমাত্র পুত্র সন্তানের পিতৃত্বের দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ দাবি জানান তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন ছেলে আলামিন, বড় ভাই মন্টু মিয়া, ভাতিজা ওমর ফারুক ও প্রতিবেশী শফিউল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে আমেনা বেগম উল্লে­খ করেন, পলাশবাড়ি উপজেলার বৈরী হরিণমারি গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া ১৯৯৪ সালে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথম সন্তান আলামিনের জন্মের ৬ মাস বয়সেই স্বামী বাদশা মিয়া চাকরি করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবে যাওয়ার তিনমাস পর থেকেই স্বামী বাদশা মিয়া তার ও সন্তানের ভোরণ পোষণ বন্ধ করে দেন। তার সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। ফলে শিশু সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন আমেনা বেগম।
এমতাবস্থায় অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আমেনা বেগম নিজের জীবিকা নির্বাহসহ সন্তান লালন পালন করতে থাকেন। আলামিন বড় হলে পিতার পরিচয় জানতে চায়। পরে বাদশা মিয়া সৌদি আরব থেকে চাকরি ছেড়ে পলাশবাড়ির নিজ বাড়িতে বসবাস শুরু করলে আমেনা বেগম স্ত্রীর অধিকার নিয়ে সন্তানের পিতার স্বীকৃতির দাবিতে একাধিকবার তার বাড়িতে যান। কিন্তু বাদশা মিয়া প্রথম স্ত্রীর প্ররোচনায় তাকে এবং তার সন্তান আলামিনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বাদশা মিয়া এক পর্যায়ে আমেনা বেগমকে জানিয়ে দেন যে অনেক আগেই তাকে তালাক দিয়েছেন। অথচ তালাকের কোনো কাগজ আমেনা বেগমের হস্তগত হয়নি।
বাদশা মিয়া সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে সন্তানের পিতৃত্বকে অস্বীকার এবং স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমেনা- আলামিনকে সমাজে নানা লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.