পলাশবাড়ীতে সরকারের দেওয়া  কৃষি প্রণোদনায় লুটপাট : ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সরকারের কৃষি প্রণোদনায় লুটপাট: ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্য নিয়ে যখন গবেষণা করছে সারা বিশ্ব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ পদকে ভূষিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই কৃষি খাতে সরকারের উদ্দ্যেশ্য ও সফলতার মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক সৃষ্টি করেছে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

ফলে প্রণোদনা পাননি তালিকাভুক্ত কৃষি কার্ডধারী কৃষকরা। কৃষি কার্ড নেই, তালিকায় নাম আছে তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন ফসলের সার-বীজ, এমনকি পেয়েছেন একই পরিবারের চার সদস্যও। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কর্ম এলাকায় যায় না বলেও অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে  প্রতারণার শিকার কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  (এস.এ.এ ও) মিলে সরকারের দেয়া কৃষকদের জন্য উন্নতমানের বীজ ও সার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

এছাড়া উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা  আজিজুল ইসলাম সরকারের কৃষি যন্ত্রপাতির ভর্তুকির টাকা আত্মসাত, বিভিন্ন ফসলের প্রর্দশনী, মাঠ দিবস, কৃষক প্রশিক্ষণসহ আরও বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। ফলে একদিকে যেমন প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের উদ্দেশ্য ও সফলতা হুমকির মুখে পড়েছে।

এদিকে গত ১১ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বিভিন্ন পত্রিকায় এসব বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশিত হলে খবরের সত্যতা যাচাইয়ে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিলেও  ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাঠে নামেনি তদন্ত কমিটি।

ফলে কৃষকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম  মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় এসেছি। গাইবান্ধায় ফিরে তদন্ত কাজ শুরু করবো।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর গাইবান্ধার উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রবি ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫২ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এই টাকায় উপজেলা ভিত্তিক ফসলের বিভাজন বিবেচনা করে মোট ১৮ হাজার ২৩০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে এই প্রনোদনা কর্মসূচির উপকরণ বিতরনের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এই সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা এক হাজার ৮০০ জন। পলাশবাড়ীতে এক হাজার ১৫০ জন,  সাদুল্লাপুরে এক হাজার ৮৫০ জন, গোবিন্দগঞ্জে চার হাজার ৭০০ জন, সুন্দরগঞ্জে দুই হাজার ৪৮০ জন, সাঘাটায় দুই হাজার ১০ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় চার হাজার ২৪০ জন।

বাস্তবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী, একজন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য বিশ কেজি করে গম বীজ অথবা পাঁচ কেজি করে ধান বীজ অথবা দুই কেজি করে ভুট্টা বীজ অথবা এক কেজি করে সরিষা বীজ অথবা এক কেজি করে তিল বীজ অথবা দশ কেজি করে চীনা বাদাম বীজ অথবা পাঁচ কেজি করে মুগ বীজ অথবা আট কেজি করে খেসারি বীজ অথবা পাঁচ কেজি করে মাসকলাই বীজ অথবা সাত কেজি করে ফেলন বীজ অথবা বিশ গ্রাম করে বিটি বেগুনের বীজ পাবেন। সাথে পাবেন বিভিন্ন ধরনের পরিমান মাফিক সারও।

এতে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচির সকল উপকরণ উপজেলা সদর থেকে বিতরন করতে হবে। সকল উপকরণ কৃষক নিজে গ্রহণ করবেন। কোন অবস্থাতেই প্রকৃত তালিকাভুক্ত কৃষক ছাড়া অন্য কাউকে উপকরণ প্রদান করা যাবেনা বা একজনের উপকরণ অন্য জনকে প্রদান করা যাবেনা।

সূত্রমতে, কৃষি উপকরণ সহায়তা র্কাড বতিরণ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরচিালক স্বাক্ষরিত ১২.১০.০০০০.০০৯.৩৫.০০৪.১৩ নম্বর স্মারকে বলা হয়ছে, জেলার উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতাগনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সকল শর্ত মোতাবকে রেজিস্টারে  তথ্যাদি সংরক্ষন করতঃ প্রাপ্তি স্বীকার র্পূবক গ্রাম/ব্লক ওয়ারি কৃষকদের মাঝে উপকরণ সহায়তা র্কাড (২০১৪) সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে শর্ত জুড়ে দেয়া আছে, পুরাতন র্কাড ফেরত নিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হব। সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রত্যেক কৃষি পরিবার যাতে কার্ড পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক পরিবারকে কোনো ক্রমেই একাধিক কার্ড প্রদান করা যাবেনা। কার্ড হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিভাবে উপজলো কৃষি অফিস অবহিত করতে হবে। কার্ড বিতরণের বিষয়টি সংশ্লষ্টি এলাকার মন্ত্রী /প্রতিমন্ত্রী /উপ-মন্ত্রী/সংসদ সদস্য/ স্থানীয় কতৃপক্ষকে অবহিতকরনের মাধ্যমে বিতরণ নিশ্চিত করতে হব।

উল্লখ্যে যে, কৃষি উপকরণ সহায়তা র্কাড (২০১৪) বিতরণ ছকে কৃষকের গ্রাম/ব্লক,ওর্য়াড নং, ইউনয়িন /পৌরসভা এবং ক্রমিক নং ১। কৃষকের নাম ২। পিতা/স্বামীর নাম ৩। জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৪। মোবাইল নম্বর ৫। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড নম্বর ৬। কৃষকের স্বাক্ষর ও তারিখ। এইসব বিষয়গুলো অবশ্যই বিতরণ ছকে উল্লেখ থাকতে হব।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নীতিমালা অনুযায়ী কৃষক তালিকা করার সময়  কৃষকের মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করতে হবে এবং সেই কৃষক কোন ওর্য়াডের বাসিন্দা সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনা কোনো ইউনিয়নের কৃষি উপকরণ অগ্রাধিকার তালিকাতে একজন কৃষকেরও ওয়ার্ড এবং মোবাইল নাম্বার নেই। আর অধিকাংশ ইউনিয়নে যাদের নামের পাশে যে মোবাইল নম্বরটি দেয়া হয়েছে সেটিও ভুয়া। আবার একই নম্বর একাধিক কৃষকের নামের পাশে লেখা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের মরাদাতেয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হালিম মিয়ার কৃষি কার্ড আছে। কৃষি প্রণোদনা অগ্রাধিকার তালিকায় ৩৩ নম্বরে তার নাম থাকলেও তিনি সরকারের এই উপকরণ সহায়তা পাননি।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, ‘আমার কৃষি কার্ড আছে, তালিকাতেও নাম আছে। কিন্তু সার-বীজ কিছুই পাইনি। অথচ যে কৃষকের কার্ড নেই তিনিও পেয়েছেন প্রণোদনা।’

মহদীপুর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গি গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক মনতাজ গাছু। তালিকাভুক্ত নম্বর ৫৩। কিন্তু তার কৃষি কার্ড নেই। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি কোনো দিন সরকারের সার-বীজ পাইনি। একই তালিকার ৩৯ নম্বর কৃষক সেরাজুল হক খন্দকার বলেন,‘আমার কার্ড নেই, কিন্তু তালিকায় নাম থাকার পরেও উপকরণ সহায়তা থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি।’

পবনাপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রাপ্তি তালিকার ৮ নাম্বার কৃষক মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘কৃষি কার্ড নেই, তবে তালিকায় নাম আছে। কিন্তু আমি সার ও বীজ পাইনি।’ একই অভিযোগ করেন, তালিকার ১০ নাম্বার কৃষক রোস্তম আলীও।

হরিনাথপুর ইউনিয়নের মরাদাতেয়া গ্রামের মানিক চন্দ্র (তালিকাভুক্তি নম্বর ১৩) তিনি রাজশাহীতে চাকরি করেন। তার বাবা বরদাচরন চন্দ্র বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলের কৃষি কার্ড নেই। কিন্তু তালিকায় নাম আছে। মানিকের সার-বীজ আমি পেয়েছি। কি ফসলের বীজ পেয়েছেন তা পরিস্কার করে বলতে পারেননি তিনি।’

মানিক চন্দ্রের চাচা নরেশ চন্দ্র তার তালিকাভুক্ত নম্বর ২৪। কিন্তু তার কৃষি কার্ড নেই। তিনিও পেয়েছেন প্রণোদনা। অথচ নরেশ চন্দ্রের ভাই ক্ষুদ্র কৃষক পরেশ চন্দ্রের কৃষি কার্ড থাকলেও তিনি কোনোদিন উপকরণ পাননি। তার কৃষক পরিচিতি নম্বর-৩২৬৭২৮২৭০৪। ব্লক নম্বর ২৭। কার্ড বিতরন করা হয় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে।

একই তারিখে কৃষি কার্ড দেওয়া হয় মরাদাতেয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শামসুল হক মন্ডলকে। তার কৃষক পরিচিতি নম্বর-

৩২৬৭২৮২৭০৪০৭। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘৫ বছর আগে কার্ড পেয়েছি। কিন্তু কোনদিন সরকারের কিছুই পেলাম না। অথচ যারা কৃষক নন, কৃষি কার্ড নেই তারাই পাচ্ছেন সরকারের কৃষি উপকরণ।’

বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্য পেয়েছেন প্রণোদনা। তারা হলেন- লুৎফর রহমান,তার স্ত্রী রুজি বেগম, ছেলে রিপন (তালিকাভুক্ত নম্বর ৭) ও লুৎফর রহমানের বাবা খাদেম হোসেন (তালিকাভুক্ত নম্বর-৩)। কিন্তু লুৎফর ও তার ছেলে রিপনের তালিকায় নাম থাকলেও কৃষি কার্ড নেই। রুজি বেগমের কৃষি কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম নেই। তারা সবাই পেয়েছেন কৃষি উপকরণ।

একই পরিবারের চার সদস্য কিভাবে কৃষি উপকরন পেলেন জানতে চাইলে লুৎফর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘শুধু আমার পরিবারই নয়, এরকম এই ইউনিয়নের অনেক পরিবারেই আছে, যারা কৃষক না হয়েও কৃষি কার্ড ছাড়াই উপকরণ পেয়েছেন।’ একই অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের অনেকেই।

গাইবান্ধা জেলা কৃষিপণ্য উৎপাদক এসোসিয়েশনের সভাপতি  কাজী আব্দুল খালেক বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সরকারের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জেলার কৃষি খাতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফলে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক সরকারের এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘মাঠ পর্যায়ে এস.এ.এ.ও’রা যদি সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন তাহলেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন।’

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল ইসলাম এখানে ২০১৫ সালের ২৮ মে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কৃষি প্রণোদনা ছাড়াও বিভিন্ন ফসলের প্রর্দশনী, মাঠ দিবস, কৃষক প্রশিক্ষনসহ কৃষি যন্ত্রপাতি ভুয়া কৃষকের নামে বিতরণ দেখিয়ে সরকারের ভর্তুকির টাকা আত্মসাত করে আসছেন। প্রায় চার বছরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে বাড়ি ও জমি কিনেছেন।

সূত্রটি আরো জানায়, প্রতিটি ব্লকে একজন করে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা নিয়মিত কর্ম এলাকায় যান না। অনেকেই আবার জেলার বাইরে অবস্থান করেও মাস শেষে এসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারকে ম্যানেজ করেই তারা এভাবে চলেছেন। তবে উপজেলার বিভিন্ন ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানরা জানান, এসএএওদের কর্ম এলাকায় খুব কম দেখা যায়। ফলে কৃষকরা সময় মতো  তাদের পরামর্শ  না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা (এসএএও) মাসের পর মাস কর্ম এলাকায় না গিয়ে কিভাবে মাস শেষে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেইবি) গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা (এসএএও) কর্ম এলাকায় নিয়মিত যায় না এই অভিযোগ অনেক পুরোনো।’ তিনি উল্টো অভিযোগ করেন জেলার সাত উপজেলার কৃষি অফিসারদের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, ‘‘কৃষি অফিসাররাই তো অনিয়মিত অফিস করেন। নানা অনিয়ম-দুর্নীতিও করেন। ফলে এসএএও’রা এই সুযোগে ইচ্ছে মতো চাকিরি করেন।’

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে প্রথমে কথা বলতে চাইলেও পরে তার কার্যালয় থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।পরে অবশ্য তিনি মুঠোফোনে বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। সংশ্লিষ্ট এসএএও’রা এই অনিয়ম করেছে ‘

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের গাইবান্ধার উপ-পরিচালক ও জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব এসএম ফেরদৌস বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উপকরন সহায়তা দিচ্ছে সরকার। কৃষি কার্ড ছাড়া কোন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক সরকারের এই সহায়তা পাবেনা। পাশাপাশি একই পরিবারের একাধিক সদস্যও প্রণোদনা পাবেনা। যদি এমনটি হয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আবদুল মতিন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.