গাইবান্ধা প্রতিনিধি: পলাশবাড়ীতে শিয়ালের মত দেখতে এক প্রকার হিংস্র প্রাণীর কামড়ে অনেকে আক্রান্ত। জানাযায়, উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় এ হিংস্র প্রাণী মানুষদের একা পেয়ে পিছন থেকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। যে কারণে কেউ বাড়ী থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছে না। কেহ যদি ক্ষেতে খামারে জমি দেখতে বা গর -ছাগল নিয়ে যায় তাকেই এটাক্ট করছে হিংস্র প্রাণীটি।
ভুক্তভোগীরা বিটিসি নিউজকে জানান, মুখ কালা,লেজ মোটা এ প্রাণীটি অনেকটা শিয়ালের মত। সচেতন এলাকাবাসী বলছেন, এটি আসলে হিংস্র বা পাগল শিয়াল। এলাকার বন উজার হওয়ার কারণে শিয়ালের বসবাসের কোন নিরাপদ আশ্রয় নেই, তার উপর এরা খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং মানুষেরা তাদের লাঠি দিয়ে তারা করার কারণে আরো বেশি হিংস্র হয়ে উঠেছে।
যেকারণে যাকে যেখানে পাচ্ছে এরা কামড়াচ্ছে। এর থেকে উত্তরণের একটাই পথ, এদেরকে দেখে তাড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না। থাকার পরিবেশ তৈরি করা, এদের একমাএ খাদ্য আখ চাষ করা।
দেড়মাস আগে হরিনাথপুর মসজিদের ইমাম মৃত মফিজুলের ছেলে ফেরদৌস সরকার রুকু (৫৬) হিংস্র প্রাণীটির কামড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরে মারা যায়। এ প্রাণীটি গবাদিপশুর উপরও ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রান্ত করছেন। এর থেকে বাদ পড়েছেন না শিশু, নারী কিংবা বয়সীরা। যাদেরকেই যেভাবে একা পাচ্ছেন হিংস্র প্রাণীটি তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ২৪ অক্টোবর রবিবার সকালে বাড়ীর পাশে রাব্বি (৭ ) নামে এক শিশু এই হিংস্র প্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
হরিনাথপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের রুবেল মেম্বার জানান, এ পযর্ন্ত হিংস্র প্রাণীর শিকার হয়েছেন নারী-পুরুষসহ ১৫ থেকে ২০ জন। এ হিংস্র প্রাণীটির ভয়ে কেউ বাড়ী থেকে বের হতে পারছেন না।
স্থানীয় মোনারুল, সুজন, রুবেল এবং রুপমের অভিমত এটি পাগল শিয়ালের কাজ হতে পারে। এর আগে একটি শিয়াল পাকড়াও করে মেরে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন শিয়াল পাগল হয়ে এরকম কান্ড ঘটাচ্ছে। আক্রান্তদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে শিয়ালের উপদ্রুপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পলাশবাড়ী পৌরসভার পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাট সড়কে জগরজানী মসজিদের সামনে অটো ইজিবাইক দূর্ঘটনায় এক শেয়ালের মৃত্যু। এসময় সাজু নামে এক ব্যাক্তি আহত হয়। আবার একই রাস্তার পলাশবাড়ী পৌর শহরের সরকারি কবরস্থানের সামনে ১৮ অক্টোবর রাত পোনে ৮টার দিকে এক সাংবাদিক শেয়ালের সাথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.