গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষা হল রুমে বই খুলে লেখা ও মোবাইলের মাধ্যমে লেখার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আর একারণেই এ পযর্ন্ত ৬ জনকে বহিস্কার করেছেন।
জানাযায়,সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের আওতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। উপজেলায় পৃথক ৬ টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ১শ ৮ জন।
পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষা চলাকালে বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশাের স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে নকল করার দায়ে ১ জন ও পলাশবাড়ী সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শন কালে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ২ জন ও দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় একজনকে বহিস্কার আজ ২০ সেপ্টেম্বর আবার বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ২ জনকে বহিস্কার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মাদ কামরুজ্জামান নয়ন।
পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে আবারও বেড়েছে নকলের প্রবণতা। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা এব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা স্কুলের পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবী বতর্মানে স্কুলগুলোতে লেখাপড়া নেই বললেই চলে। স্কুলগুলোতে শিক্ষকেরা নিয়মিত পাঠদান করান না। তারা স্কুলে সময় মত আসেন না। স্কুলে এসে বেশিরভাগ সময় গল্প গুজব আর চায়ের দোকানে আড্ডা জমান। আর এসব কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নকলের প্রবণতা বেড়েছে।
কিছু অভিভাবক বলেন, স্কুলগুলো ভালো রেজাল্ট দেখাতে পরীক্ষা কেন্দ্র পযর্ন্ত কন্ট্রাক করে শিক্ষকেরা নিজে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নকলে উৎসাহিত করছেন এরকম অভিযোগও পাওয়া গেছে। এব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপর নজরদারির আহবান জানান সচেতন অভিভাবকেরা।
বাসুদেবপুর সিকে স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর নুর বিটিসি নিউজকে বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতাই এর মূল কারণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজকে জানান, নকল বিরোধী অভিযানে ও শিক্ষাক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.