পলাশবাড়ীতে ফোরলেন উন্নীতকরণে অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্য নাম মাত্র নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক ফোরলেন উন্নতকরণে অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য নামমাত্র নির্ধারণের প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে এক বিশাল মানববন্ধন উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে মহাসড়ক ঘেঁষে জুনদহ বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহাসড়ক ঘেঁষে উভয়পাশে অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য নির্ধারণে সশ্লিষ্ট দায়ীত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা তাদের অশুভ শুভঙ্করের স্বেচ্ছাচারিতার ছত্রছায়ায় রহস্যজনক কম মূল্য নির্ধারণসহ প্রদানের পায়তারা করছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে অত্রালাকার ভূক্তভোগি জমির মালিকরা সম্মিলিত উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে জমির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রহস্যজনক বলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চরম বিপর্যয়ের মুখে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
বিপুলসংখ্যক ভূক্তভোগি মানববন্ধনে অংশ নেন।
পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উভয় অংশে কোমরপুর এলাকার কাছাকাছি ঘেঁষা জমির মূল্য নির্ধারণে কর্তৃপক্ষ চরম বিমাতাসুলভ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।এমন পক্ষপাতিত্ব পরিহার করে জমির প্রকৃত মূল্যের অংক পুনঃ নির্ধারণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করা হয।
এসময় বক্তারা বলেন,নিকটাবর্তী অভিরাম,দরবস্ত ও রামপুর মৌজাসহ কোমরপুর এলাকার তুলনায় জুনদহ বাজার এলাকার পশ্চিম গোপিনাথপুর ও দুবলাগাড়ী মৌজার জমিসহ অবকাঠামোর মূল্য কম নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক হাবিবুর রহমান লাভলু,সৈয়দ আওরঙ্গ জেব আলম,মাহফুজার রহমান বাবুল, মতিয়ার রহমান,মনিরুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অভিরামপুর ও রামপুর মৌজায় বানিজ্যিক প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।অথচ একই এলাকার পশ্চিম গোপিনাথপুর ও দুবলাগাড়ী মৌজার প্রতি শতাংশের মূল্য ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বসতবাড়ীর জমির মূল্য ১৪ হাজার এবং ডাঙ্গা জমির মূল্য ২৩ হাজার ৬’শ ৫২ টাকা নির্ধারণ করে ৮ ধারায় নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.