পলাশবাড়ীতে ডাকাত পাড়ায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন সি- সার্কেল এসপি আসাদুজ্জামান

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাতার পাড়া গ্রামটির অধিকাংশ বাসিন্দা ছিল ডাকাত। তারা সন্ধ্যা হলেই পলাশবাড়ী – গাইবান্ধা সড়কের সাকোয়া ব্রীজসহ বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করতো।
এ কারণে সন্ধ্যা নামলেই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের মনে ডাকাত আতঙ্ক সব সময়ই থাকতো। আর এ কারণে সাতার পাড়া গ্রামটি ডাকাত পাড়া নামে ক্ষেত ছিল।
পলাশবাড়ী থানায় যে অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আসত তারাও বেশী দিন ঠিকতে পারতো না এই সাতার পাড়ার ডাকাতদের কারণে। তারপর বর্তমান সরকারের কঠোরতা ও পলাশবাড়ী- গোবিন্দগঞ্জ  থানার দায়িত্বরত  সি- সার্কেল এসপি আসাদুজ্জামান কৌশল অবলম্বন করে প্রথমে উক্ত গ্রামে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করে তাদের ডেকে বুঝালেন।
পরবর্তীতে  সাতার পাড়া গ্রামের ডাকাত সর্দার আব্দুল বাকীকে ভালোর পথে ফিরিয়ে আসার আহবান জানালেন। ডাকাত সর্দার বাকী সি- সার্কেলের প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে তার গ্রূপের সকল সদস্য আত্নসমার্পন করে ভালোর পথে ফিরিয়ে আসেন।
সি- সার্কেল বাকী ডাকাতকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি দোকান করে দিলেন তারপর সরকারী সহায়তায় একটি ঘর করে দিলেন। এখন বাকী ডাকাতসহ সাতার পাড়া গ্রামের সকল ডাকাত ভালো হয়ে গেছে।
আর এ কারণে পলাশবাড়ী- গাইবান্ধা সড়কে গভীর রাতে যানবাহন চলাচল করলেও আর কোন ডাকাতি নেই। এসব এলাকার মানুষের মাঝে যে ডাকাত আতঙ্ক ছিল তা আর নেই সি- সার্কেল আসাদুজ্জামানের দূরদর্শিতায়। এখন এ এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে। মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
সাতার পাড়া গ্রামের মানুষ জানান, বাকী ডাকাতসহ অন্যান্য ডাকাতেরা ভালো হয়ে গেছে। বাকী ডাকাত এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। বাকী ডাকাতের স্ত্রী জানান, গ্রামের মানুষ আমাকে ডাকাতের স্ত্রী বলে ডাকতো।
আমাদের ঘৃনা করতো। এখন সে ভালো পথে ফিরে আসায় গ্রামের সবাই আমাদের ভালোবাসে, আমাদের খোঁজ খবর নেয়। এখন আমরা অনেক শান্তিতে আছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.