পলাশবাড়ীতে গ্রামীণ রাস্তাগুলো কাঁদায় পরিণত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার গ্রামীণ জনপথের রাস্তা গুলোর বেহাল দশা। বর্ষাকাল এলেই হালকা মাঝারী গুরিগুরি বৃষ্টিপাতে জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীন রাস্তা-ঘাট গুলো কাঁদায় পরিণত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় সাধারন মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় দেখেও যেন দেখার কেউ নেই!
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের যেসকল গ্রামীন জনপদের যাতায়াতের জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাগুলি দিয়ে সাধারন মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তার মধ্যে কাশিয়াবাড়ী বাজারে, কাশিয়াবাড়ী বাজার হতে দক্ষিনে টোংরারদহ পর্যন্ত, কাশিয়াবাড়ী শ্রীমুখ পাড়ার রাস্তা, বড় শিমুলতলা গ্রামের আবুল মুন্সির বাড়ী হতে ফজলুল হক বিএসসির বাড়ী পর্যন্ত,সুলতানপুর পশ্চিম বাড়াই পাড়া হতে টোংড়ারদহ পর্যন্ত,কাশিয়াবাড়ী বাজার হতে ঋর্ষিঘাট পর্যন্ত,কাশিয়াবাড়ী বাজার হতে কিশোরগাড়ী বাঁধ পর্যন্ত,কাশিয়াবাড়ী বাজার পাকার মাথা হতে বাচরাপাড়া পর্যন্ত,পশ্চিম রামচন্দ্রপুর মেঘারমোড় হতে হাজিরঘাট পর্যন্ত,পশ্চিম নয়ানপুর মধ্যপাড়া রাস্তাসহ এসকল জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী শিক্ষার্থীসহ খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেনীপেশার হাজার হাজার মানুষ।
বিশেষ করে জৈষ্ঠ্য থেকে আষাঢ় মাসে সামান্য হালকা-মাঝারী গুরিগুরি বৃষ্টি হলেই গ্রামীন রাস্তাগুলো কাঁদায় পরিনত হয়। এরই মধ্যে বর্ষাকাল আসলে আরও বেশি এই সকল রাস্তাগুলি বেহাল দশায় পরিনত হয়।বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার খেটে খাওয়া সাধারন মানুষগুলোর রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসকল রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত পথচারীরা হোঁচট খেয়ে পরে গিয়ে শরীরে পড়নের পোষাক পরিচ্ছেদ কাঁদায় মাকিয়ে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।প্রতিদিন এই সকল রাস্তাগুলো দিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, ছাত্রছাত্রীরা পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করে থাকেন।
এছাড়াও অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার স্থানীয় ও দুর-দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার সাধারন মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করে থাকেন। এই রাস্তাগুলি কাঁচা হওয়ায় হালকা-মাঝারী বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলি কাঁদায় পরিনত হয়। কাঁদার কারনে দিনে কিংবা সন্ধ্যার পর পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে হোঁচট খাওয়াসহ ছোট-খাট দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে থাকেন। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী,খেটে খাওয়া অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেনীপেশা মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই কাঁচা রাস্তাগুলি।
বর্তমানে এই রাস্তাটি এতোটাই চলাচলের অনুপযোগী যার বাস্তবচিত্র অত্যন্ত খারাপ। যেখানে ১০ মিনিটের রাস্তা সেখানে ওই রাস্তা দিয়ে ১ ঘন্টায় পথচারীরা গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারেনা।আর ওই সকল পথচারীদের যাতায়াতের জন্য নেই কোন বিকল্প রাস্তা।
এমনিতেই গ্রামীন রাস্তাগুলি অত্যন্ত খারাপ তারমধ্যে প্রতিবছর লেগেই থাকে বন্যা। আর এ ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামে বন্যায় প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাটগুলি আরও ভেঙ্গে ক্ষতি হয়ে যায়। এরপর এই রাস্তাগুলি দিয়ে প্রতিনিয়ত মহেন্দ্র ট্রাক্টর,পাওয়ার টলি,ভটভটি এসব যানবাহন চলাচলে রাস্তাগুলি আরও অত্যন্ত ক্ষতি হয়। যা রাস্তাগুলি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। একারণে পথচারীদের  চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
তাই যাতায়াতের এ চরম দুর্ভোগ নিরসন কল্পে সংশ্লিষ্ট মাননীয় এমপি মহোদয়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় উপজেলাপ্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সু-দৃষ্টিসহ আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.