পলাশবাড়ীতে গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট থেকেও নেই ভোগান্তিতে জনসাধারণ 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভায় পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার থেকেও  নেই। জেলা পরিষদ থেকে চৌমাথা (ডাকবাংলোয়) একটি পাবলিক টয়লেট করা হলেও সেটি জনসাধারণের জন‍্য উম্মুক্ত নয়।.
অপরদিকে টাউন হল সংলগ্নে একটি পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার থাকলেও সেটিও ব‍্যবহার হচ্ছে না।
তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। 
পলাশবাড়ী উপজেলা হাইওয়ে মহাসড়কের উপর হওয়ায় জেলার ভিতর এ উপজেলার গুরুত্ব খুবই বেশি। প্রতিদিন  দেশের দুর- দুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এখানে টাউনহল সংলগ্ন স্থানে যে শৌচাগার রয়েছে তা ব‍্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। আর একটি জেলা পরিষদ থেকে চৌমাথা ডাকবাংলোয় সায়েদ ডাক্তারের চেম্বারের পার্শ্বে করে দেওয়া হয়েছে তা সব সময় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে ভালো শৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট প্রতিটি মানুষের জন‍্যই অপরিহার্য। এই অবস্থায় শহরে আসা লোকজনকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। বিশেষ করে নারীদেরকে।
পৌরশহরের প্রতিটি অলিগলি,চিপায়,ফুটপাতের উপরে, ডাকবাংলোর গেটে, পোস্ট অফিসের সামনে, গাইবান্ধা স্ট‍্যান্ডে, দক্ষিণবন্দর বগুড়া বাস স্ট‍্যান্ডে, পলাশবাড়ী টু  ঘোড়াঘাট রোডে,  দক্ষিণবন্দর পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদসহ যেখানে সেখানে মূল-মূত্র ত‍্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে এইসব জায়গা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করার সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। আর একারণে পৌরশহরে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।
এব‍্যাপারে পলাশবাড়ী পৌরসভার প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পৌরসভা থেকে এরকম প্রকল্প এখনও ধরানো হয়নি। তবে সামনে একটি প্রকল্প আসছে গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট স্থাপনের জন‍্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পৌরশহরে পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার খুবই জরুরি। হাইওয়ে মহাসড়ক ভাঙার কারণে সঠিক জায়গা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না পাবলিক টয়লেটের জন‍্য। আর জেলা পরিষদ থেকে যে পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার করা হয়েছে তা খুলে দিয়ে জনসাধারণের জন‍্য উম্মুক্ত করার ব‍্যবস্থা করা হবে। আর যেসব পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার পরিত্যক্ত এবং ব‍্যবহারের অনুপযোগী সেগুলো মেরামতের জন‍্য  প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.