পলাশবাড়ীতে খবর প্রকাশের পর এলসিএস প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলজিইডি’র আওতায় পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেনের বিরুদ্ধে এলসিএস এর মাধ্যমে প্রকল্পে মহিলা শ্রমিক নিয়োগ না দেওয়ার খবর বিটিসি নিউজ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আজ রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তদন্ত কার্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম ও সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম। এসময় কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) আমিনুল রিন্টু, পবনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) শাহআলম ছোটবাবা, বরিশাল ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) আব্দুল মান্নান, বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) ফজলুল করিম, সাংবাদিকদের পক্ষে শাহরিয়ার কবির আকন্দ তাদের লিখিত বক্তব্য তদন্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করেন। সকলে মহিলা শ্রমিক নিয়োগে উপজেলা প্রকৌশলীর ব‍্যর্থতাকে দায়ী করেন।
এছাড়াও উপজেলা প্রকৌশলী ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বরের ১২ তারিখ থেকে উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে সেসব কথাও জানান চেয়ারম্যান এবং উপস্থিত সাংবাদিকেরা।
উপজেলা প্রকৌশলী ৫ বছর এ উপজেলায় থাকার কারণে স্থানীয় সরকারের টেকসই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেটিও তুলে ধরা হয়। আরএমপি মহিলা নিয়োগেও উপজেলা প্রকৌশলী মহিলা শ্রমিকদের অবরুদ্ধের স্বীকার হন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটিও জানানো হয়।
এব‍্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, আমি সকলের বক্তব্য শুনলাম এবং লিখিত বক্তব্য নিলাম এসব আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পাঠাবো।
তিনি সাংবাদিকদের নিকট পরামর্শ চান এই অল্প সময়ের মধ্যে মহিলা শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব কি-না। সাংবাদিকেরা সহ সকলে জানান, স্বচ্ছ থাকলে কেন দেওয়া সম্ভব নয়। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এটা লোভ লালসার জায়গা নয়। 
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) প্রকৌশলী তাহাজ্জত এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে লেবার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি (এলসিএস) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪৫ জন দুস্থ অসহায় মহিলা  শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে বিগত দেড় বছরে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকার আর্থিকসহায়তা হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন অসহায় মহিলারা কাজ থেকে বঞ্চিত হলেছে অপরদিকে এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার না হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে।
সরকার গ্রামীন দুস্থ অসহায় কর্মঠ মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর লেবার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি (এলসিএস) প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়কেরমেরামত  কাজ ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মহিলা শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
সেই  মোতাবেক জেলার সকল উপজেলায় এলসিএস প্রকল্পে মহিলা শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মেরামত  কাজ সম্পন্ন করে। নিয়োগকৃত মহিলা শ্রমিকদের প্রতি মাসে ৭ হাজার ৫শ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও  প্রকৌশলী তাহাজ্জত হোসেন অজ্ঞাত কারণে গত দেড় বছরে পলাশবাড়ী উপজেলায় ৪৫ জন মহিলা  শ্রমিক নিয়োগ দেননি। এই ৪৫ জন শ্রমিক নিয়োগ না দেওয়ার কারণে এলজিইডি’এর অধীনে থাকা অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়কের  মেরামত কাজ একেবারেই হয়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.