পলাশবাড়ীতে এনজিওদের ঋনের চাপায় পরে আছে হাজারো হতদরিদ্র পরিবার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বে সরকারি সংস্থার ঋনের বোঝায় চাপা পরে আছে হাজার হাজার হতদরিদ্র পরিবার। ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে অনেক পরিবারই খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছে। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় এই উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এনজিও গুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীন ব্যাংক,ব্র্যাক,আশা,টিএমএসএস,ব্যুরো বাংলাদেশ,আরডিআরএস,শক্তি, ছারা ও বেশ কয়েকটি এনজিও।

কাগজে কলমে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ের কথা বলে এসব এনজিও উপজেলায় কাজ করলে ও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যায়।অনেক এনজিও আবার শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন যৌতুক নারী নির্যাতনের উপর কাজ করার সাইনবোর্ড লাগালে ও এরা শুধু মাইক্রোক্রেডিট ক্ষুদ্র ঋন প্রকল্প চালু রেখেছেন।

একজন ব্যাক্তি একটি এনজিওর সদস্য থাকার পর ও অন্য এনজিও ওই সদস্যকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও কম সুদের প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য পদ দেওয়া হয়। এরপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ঋনের বোঝা।একই ব্যাক্তি ৩/৪ টি এনজিও থেকে ঋন গ্রহণ করার ফলে ঋন পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে।রোজগারের টাকা দিয়ে ঋনের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে অনেক পরিবারকে  না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে আবার ঋনের বোঝা সইতে না পেরে এলাকা ছেরে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় পারি দিচ্ছে। কেউ কেউ বেছে নেয় আত্নহত্যার পথ।

অনেক এনজিওকর্মী ঋন গ্রহীতার বাসায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে দেয়া।টাকা না পেয়ে অনেকে ঋন গ্রহীতার পরিবারের গরু, ছাগল এমন কি ঘড়ের টিন খুলের নেওয়ার মত ঘটনাও ইতোপূর্বে ঘটছে। কোন কোন এনজিও এসব কর্মকাণ্ড না করে ঋন গ্রহীতার নামে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। একই ব্যাক্তি একাধিক এনজিও র সদস্য এবং আর্থসামাজিক ভাবে উন্নতি না করার ফলে দরিদ্র পরিবার গুলোর এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সমাজে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে কি ভাবে এনজিওদের ঋনের বোঝা হয় মুক্ত করা যায় তা খুজে বের করা খুবই জরুরী।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.