পলাশবাড়ীতে আ.লীগ নেতার পরিচয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয়ে শতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও একের পর এক হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় রাইগ্রাম জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এরাকাবাসী জানান রাইগ্রামের মৃত গোলাম আলীর ছেলে মিলন ব্যক্তিগত জীবনে মূলতকিছুই করেন না।আয়ের একমাত্র উৎস আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনের আঙ্গিনা।
তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে কখনোই জড়িত ছিলেননা বা এখনো নন।স্থানীয় সচেতন রাজনৈতিক বোদ্ধারা তাকে যারা চিনেন তারা তাকে পরীক্ষিত সুবিধাবাদী বলেই চিনেন বা জানেন।
তিনি আওয়ামী লীগের স্বয়ং এমপিসহ উপজেলা দলীয় প্রথমসারির কতিপয় নেতা ঘেঁষা।আর এমন ঘেঁষাঘেঁষির সুবাদে মিলনও হয়ে উঠেছেন অন্যতম ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী রুপে।
একারনে আওয়ামী লীগের প্রকৃত ত্যাগি ও নিবেদিত অনেক নেতাকর্মিই দ্বিধাবিভক্তসহ বিরাগভাজন হয়ে পড়েছেন।বিগত কয়েক বছরের ব্যবধানে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
একটি সময় এ অঞ্চলের অন্যতম হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের অভয়ারণ্য বা প্রধান ঘাঁটি মাদক অধ্যূষিত বলে পরিচিত উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বর্তমানে পলাশবাড়ী পৌর শহরের রাইগ্রাম।
এই ঘাঁটিটি উচ্ছেদে সময়ের ব্যবধানে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনা সদস্যরাও একাধিক অভিযান চালিয়েছেন।কিন্তু  প্রথমত মাদকবিহীন বেশ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও পরবর্তিতে ওই যা তাই।
যদিও অতীতের সেই পরিস্থিতি বর্তমান সময় আমুল পরিবর্তন ঘটেছে।এই মাদকঘাঁটি বেষ্টিত এই এলাকায় মিলনের বসতবাড়ী।প্রশাসনের দফায়-দফায় পৃথক অভিযানে অদ্যাবধি অগণিত মাদক মামলা দায়ের হয়েছে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ১৫৩টি মামলার স্বাক্ষী এই মিলন।অর্থাৎ সুবিধাবাদী এই মিলনের কলকাঠির ইশারায় এসব মামলার মূল উৎপত্তি।যার পুরোটাই রহস্যজনক।অর্থাৎ যে হরা সেই হরি।মিলন জ্বরে আক্রান্ত পুরো রাইগ্রামবাসি।
মিলন যেমন চোরকে বলেছে চুরি করতে ঠিক তেমনি গৃহস্থকে বলেছে জেগে থাকতে।আর এমনিভাবে একই ব্যক্তি পর-পর ১৫৩টি মাদক মামলার স্বাক্ষী বনেছেন। স্বাক্ষী হবার সুবাদে দু’হাতে কামিয়েছেন অবৈধ লক্ষ লক্ষ টাকা।
এর হাত থেকে রক্ষা পায়নি দিন মজুর, জেলে , ভাটা শ্রমিক, বাদাম বিক্রেতা, গার্মেন্টস কর্মী, রিক্সা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অসহায় মানুষ।মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
চাঁদা না দিলেই এসব অসহায় মানুষকে মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেয়া হয়।তাকে  এ কাজে সহযোগিতা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কিছু কর্মকর্তা।
তারা আরো জানায় এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে চলাচলের রাস্তায় অবস্থিত ব্রিজের রেলিংয়ে বসাকে কেন্দ্র করে মিলনের নেতৃত্বে মানিক,সুমন ও মাহফুজ গংদের হামলায় দরিদ্র দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম(৩৮)ও তার ভাতিজি বেবি আক্তার (২৭)গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে চাচা-ভাতিজি দু’জনই হয়েছেন ক্ষত-বিক্ষত।
আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণসহ যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।ঘটনার কয়েকদিন পরেেিয় গেলে ও পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি।
গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও একের পর এক হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা হামলার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,স্থানীয় সংসদ সদস্য  ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.