পলাশবাড়ীতে অভাগীদের কপালে জোটেনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অভাগীদের কপালে জোটেনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
জানাযায়, পলাশবাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের রাবেয়া বেওয়া ৭০, স্বামী বাদশা মিয়া তিনি পেশায় ছিলেন একজন ড্রাইভার।রাবেয়া সড়ক দূর্ঘটনায় স্বামী হারিয়েছেন প্রায় ৩০ বছর পূর্বে।
তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে শশুরবাড়ীতে অবস্থান করছেন। আর দুই মেয়েরা তাদের স্বামীর বাড়ীতে। রাবেয়া বেওয়া ঝি এর কাজ করেন মানুষের বাড়ীতে। সারাদিন কাজ শেষে মাথা গোঁজার আশ্রয় টুকুও নেই এই ভুমিহীন রাবেয়ার।ফলে কোনদিন ফুটপাতে কোনদিন রাস্তায় অথবা মানুষের বাড়ীতে বাড়ীতে কোন মত রাত্রি যাপন করে বেঁচে আছেন এই অসহায় হতদরিদ্র নারী।এ ভাবে রাবেয়া বেওয়া পার করেছেন জীবনের প্রায় ৩০ টি বছর
রাবেয়া বেওয়ার আশার আলো দেখেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্প দেখে। ভেবেছিলেন তিনি ভুমিহীন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে তিনি হয়তো একটি ঘর পাবেন ।তার মাথা গোঁজার আশ্রয় হবে। মানুষের পরার্মশ নিয়ে একটি ঘরের জন্য আবেদনও করেছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে। কিন্তু কেউ দেয়নি তাকে ঘর দেয়ার আশ্বাস। পর পর তিনবার আবেদন করেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটি ঘড়। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশাও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি ।
বতর্মানে রাবেয়া বেওয়া নুনিয়াগাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী রতন মিয়ার বাড়ীতে ঝি-এর কাজ করে  জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এদিকে, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের সাইনদহ গ্রামের মৃত নুরুল হকের স্ত্রী জেন্না বেওয়ার কপালেও জোটে নাই একখানা সরকারি ঘর।
এসব সরকারি ঘর তয়তদবির করে কতজনই না লুফে নিচ্ছেন। অথচ! প্রায় সময় দেখাযায় প্রকৃত অসহায়রা থেকে যাচ্ছেন বঞ্চিত। জনপ্রতিনিধিদের চোখে এদেরকে পড়ে না। তারা কালো চশমা পড়ে থাকেন। তাদের আশেপাশে কিছু দালাল শ্রেণীর লোক থাকে। তারাই গ্রামে গিয়ে যে টাকা দিতে পারবে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে এসে জনপ্রতিনিধিদের হাতে দিয়ে নাম আন্তভূক্ত করান। এমন অভিযোগ গ্রামগঞ্জে গেলেই পাওয়া যায়।
জেন্না বেওয়া এক অভাগী নারী। তার মাথা গোজার মত একখানা নড়বড়ে ভাঙা কুঁড়েঘর দুই শতাংশ জমির উপর। অন‍্যের বাড়ীতে ঝিঁয়ের কাজ করেন। অসহায় দরিদ্র এ মানুষটিকে জনপ্রতিনিধির চোখে পড়লো না তা অবাক করার মত ব‍্যাপার বা কান্ড। এখন সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটি ঘরের আবেদন জানিয়েছেন।
অসহায় এ দুই নারীর দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘড় পেলে, তাদের মাথা গোজার একটি ঠাঁই হবে। এব‍্যাপারে তারা মাথা গোজার আশ্রয়ের জন্য মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য অ‍্যাড, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব‍্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,আসলে পৌরসভার মানুষ হোসেনপুর কিংবা মহদীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে যেতে চায় না। ঘর বরাদ্দ দিলেও তারা কিছু সময় থেকেই পুনরায় চলে আসে। যেহেতু পৌরসভার ভিতর আমাদের ঘরের বরাদ্দ কম। যদি রাবেয়া নিজ এলাকা ছেড়ে হোসেনপুর কিংবা মহদীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে  থাকতে চায়,তবে তাকে আমরা ঘর বরাদ্দ প্রদান করব। কিন্তু ঘর পাওয়ার পর, ঘর ছেড়ে চলে আসা যাবে না। আর জেন্না বেওয়াকে আবেদন করতে বলেন, তাকে আমরা তার এলাকায় পরবর্তীতে ঘর দেব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.