পলাশবাড়ী আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে তিনজনের প্রধান শিক্ষকের দাবী।। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন,”ওনারা তিনজনই অবৈধ”

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: জানাযায়, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াজেদ স্কুল বেসরকারি থাকা অবস্থায় বেশকিছুদিন দায়িত্ব পালন করে চলে যান। এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাদুল্লাপুর উপজেলার খোদ্দমোজাহিদপুর গ্রামের জিয়াউল হক নামে আর একজন।
তিনিও বেশকিছুদিন দায়িত্ব পালন করে আস্তে আস্তে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন। বেতন না পেলে যা হয়। এমন সময় স্কুলগুলো জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম হলে ঢাকার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বতর্মান প্রধান শিক্ষক দাবীকারী মেহেদী হাসান ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সুযোগ বুঝে স্কুলে যোগদান করেন।
যেহেতু মেহেদীরা স্কুলের জমি দিয়েছেন,স্কুল তৈরি করতে টাকা খরচ করেছেন,ম‍্যানেজিং কমিটিও তাদের দখলে তাই এই সুযোগে মেহেদীর বোন,স্ত্রী ও চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বাসনা নিয়ে ওঠে পড়ে লেগে যান।
এমন সময় ২০১৭ সালের ২৩ শে মার্চ স্কুলটি সরকারি করণের ঘোষণা আসলে বাকী দুজন নড়েচড়ে বসেন। এমনকি তিনজনই প্রধান শিক্ষক দাবী করে মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। যা বতর্মানে চলমান রয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে স্কুলটিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে মেহেদীকে দেখা যায়।
এব‍্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার কোড পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। প্রধান শিক্ষককের বেতন ভাতা কে পাচ্ছেন।
এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক দাবীকারী মেহেদী হাসান জানান, কেউই না। বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে কি করেছেন, দৃশ‍্যমান একটি আলমারি ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেননি। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা থেকেই দু’চালা নিম্নমানের কমদামী টিন দিয়ে চালা এবং বেড়া দেওয়া। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে স্কুলটি। এর ছাত্র-ছাত্রী বাস্তবে ৪০ থেকে ৪৫ জন। বতর্মান শিক্ষক সংখ্যা প্রধান শিক্ষক বাদে ৫ জন। স্কুলের হিসেব মতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ জন।
এব‍্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন বিটিসি নিউজকে জানান, স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক দাবীকারী তিনজনই অবৈধ। তারা কেউই সহকারী শিক্ষকও নন। বতর্মানে যে প্রধান শিক্ষক দাবী করে চেয়ারে বসেছে তাকে আমি গত সপ্তাহে নিজে গিয়ে নিষেধ করে এসেছি। এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক যে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এতবছর বরাদ্দের টাকা দিয়ে দৃশ‍্যম‍্যান কি করেছে আমার বোধগম্য নয়। এ সুযোগটা সে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাম সাহেবের কাছ থেকে পেয়েছে। আমি এ প্রতিষ্ঠান বতর্মানে নিজে সর্বক্ষনিক তদারকি করছি। অনিয়মের আর কোন সুযোগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজকে জানান, খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.