পলাশবাড়ীতে ভূমিহীন এবং গৃহহীন অসহায় দম্পতির একটি ঘরের জন‍্য আকুতি 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নয়আনা নওদা গ্রামের অন‍্যের ঘরে বসবাসকারী ভূমিহীন গূহহীন অসহায় আনজুয়ারা-জাহাঙ্গীর দম্পতির একটি ঘরের জন‍্য আকুতি। তারা বতর্মানে চাচাতো ভাইয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন।
পহেলা আগষ্ট মঙ্গলবার সরেজমিনে এ দম্পতির বাড়ীতে গেলে দেখা যায়, চাচাতো ভাইয়ের দেওয়া একটি কাঁচা টিনের স‍্যাঁত স‍্যাঁতে পরিত্যক্ত বদ্ধ ঘরে ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন এ দম্পতি। ঘরটির জানালা নেই।শুধু একটি ভাঙা কাঠের দরজা তাও আবার ভেঙ্গে গেছে। ঘরটিতে বসবাস করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং মেয়ে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপরে চালের টিনগুলো বহুদিনের পুরাতন হওয়ায় তাতে ছিদ্র হয়ে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে বিছানাপত্র ভিজে যায়। সেদিন রাত জেগে বসে থাকতে হয়। পানি খাওয়া টিউবওয়েল নেই। বাথরুম সারতে হয় প্রতিবেশীদের বাড়ীতে গিয়ে। মেয়ে জামাইয়েরা আসলে একই ঘরে গাদাগাদি করে থাকতে হয়।
জানাযায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নয়আনা নওদা গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তার এর ছেলে ভূমিহীন -গূহহীন রিক্সা চালক জাহাঙ্গীর (৪৮)দীর্ঘ ২০ বছর থেকে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এ দম্পতির তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুটি মেয়েকে বহু কষ্টে বিবাহ দিয়েছেন। এরমধ্যে মেজো মেয়ে জেসমিন স্বামীর বাড়িতে গ‍্যাস সিলিন্ডার বাস্ট হয়ে শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়িয়ে যায়। মেয়ের সংসারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে রিক্সা চালক বাবা জাহাঙ্গীরকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হয়। এমতাবস্থায় মেয়ের পিছনে চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে পরিবারটি নিঃশ্ব হয়ে যায়।
রিক্সা চালক জাহাঙ্গীর জানান, আমি মেয়ের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে নিঃশ্ব হয়ে গেছি। আমি ভূমিহীন এবং গূহহীন। আমার এ অবস্থা দেখে আমার চাচাতো ভাইয়েরা আমাকে দুই শতাংশ জমি বাড়ী করার জন‍্য দিতে চেয়েছে। কিন্তু কি দিয়ে ঘর করব! একদিন কামাই না করলে হাড়ী চলে না। না খেয়ে থাকতে হয়। ঘর দিব কি দিয়ে। তার উপর মেয়েটার বিবাহ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি কি করব ভেবেই পাচ্ছি না।
এমতাবস্থায় সরকারসহ সমাজের বিত্তবান,রাজনৈতিক ব‍্যক্তিবর্গ এবং সমাজের কোন  সহৃদয় ব‍্যক্তি একটি ঘর তৈরি করে দিতেন তাহলে আমার পরিবারটি একটু মাথা গোঁজার ঠাই পেতাম। কেউ যদি আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে চান তাহলে আমার এই নাম্বারে সাহায্য পাঠাবেন। ০১৭৫৩৬৪৮১০৫ (বিকাশ)।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.